বিনিয়োগকারীকেন্দ্রিক নতুন সাংগঠনিক কাঠামো চালু করেছে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)। ইনভেস্টর জার্নিকে কেন্দ্র করে গঠিত এ কাঠামোয় প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য আলাদা ডেস্ক, রিসার্চ উইং, সেক্টর ও কান্ট্রি স্পেশালিস্টসহ দুর্নীতিরোধে ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিডা বলছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য পরবর্তী সরকারের জন্য একটি শক্তিশালী বিনিয়োগভিত্তি তৈরি করা।
আজ (০২ নভেম্বর) বিডা চেয়ারম্যান তার ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট এবং ভিডিও এর মাধ্যমে এই সকল তথ্য জানান।
বাংলাদেশ টাইমস'র পাঠকদের জন্য পোস্টটি তুলে ধরা হলো:
ইনভেস্টর জার্নিকে কেন্দ্র করে আজকে থেকে বিডার নতুন সাংগঠনিক কাঠামো চালু হলো। পুরোনো কাঠামোটি তৈরি করা হয়েছিল আমাদের (সরকারের) কিভাবে কাজের সুবিধা হয় সেটা মাথায় রেখে।
আমরা বিভিন্ন দেশের সফল মডেল এবং ইনভেস্টরদের মতামত যাচাই করে একটা নতুন স্ট্রাকচার দাঁড় করিয়েছি।
বিনিয়োগকারীদের প্রাধান্য দিয়ে তৈরি এই কাঠামোর কয়েকটি বিশেষ দিক হচ্ছে:
- প্রবাসী বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ডেডিকেটেড ডেস্ক করা হয়েছে। তাদের ইস্যুগুলো একটু ইউনিক। তাছাড়া স্বদেশী হিসেবে তাদের আলাদা অ্যাটেনশন পাওনা।
- আলাদা একটি বেশ বড় রিসার্চ উইং রয়েছে। সরকারের মধ্যে সত্যিকার গবেষণার বা ব্রেইন পাওয়ার এর একটু ঘাটতি দেখি। আমরা সেটা একটু পূরণ করার চেষ্টা করবো।
- প্রায়োরিটি সেক্টর ও বিনিয়োগ সম্ভাবনাময়ী দেশগুলোর জন্য সেক্টর ও কান্ট্রি স্পেশালিস্ট থাকছে। ব্যাংকিং স্টাইলে বড় দেশী-বিদেশী বিয়োগকারীদের জন্য দেয়া হচ্ছে রিলেশনশিপ ম্যনেজার।
- সিনিয়র পজিশনে প্রাইভেট সেক্টর, নিজস্ব স্টাফ, আমলা, সবাইকে নেয়ার সুযোগ থাকছে। প্রত্যেকের সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড বা কেপিআই সেট করা হয়েছে।
- দুর্নীতি রোধে এবং সার্ভিস কোয়ালিটি বাড়াতে ডিজিটাইজেশন ফোকাসড একটা ডিপার্টমেন্ট রাখা হয়েছে।
যথাযথ অফিসার নিয়োগ করে, তাদের ট্রেনিং দিয়ে এর সম্পূর্ণ সুফল পেতে হয়তো বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্বই হচ্ছে ইলেকশন পরবর্তী সরকারের জন্য একটি লঞ্চপ্যাড তৈরি করে দেয়া। আমরা একটা ভিত্তি তৈরি করে দিয়ে যাবার চেষ্টা করছি যাতে পরবর্তী বিডা চেয়ারম্যানরা একটা শক্তিশালী সংগঠন দিয়ে শুরু করতে পারেন।
টিকে/