নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে বিশ্বের ১১টি দেশের ২১টি স্টেশনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম চলছে। নিবন্ধনের এই স্টেশনগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় দু’টি, কানাডায় দু’টি, যুক্তরাষ্ট্রে চারটি এবং যুক্তরাজ্যে তিনটি রয়েছে।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আখতার আহমেদ বলেন, ইসি ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করছে, যেন যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে, সেসব দেশেও এই সেবা সম্প্রসারণ করা যায়। তিনি নিশ্চিত করেন যে নিবন্ধনের পর প্রবাসীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
সচিব আরও বলেন, পাসপোর্ট নিতে এনআইডি বাধ্যতামূলক হওয়ায় ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসীর এনআইডি রয়েছে বলে ইসি মনে করে। তবে, ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের যেসব প্রবাসী এখনো নিবন্ধিত হননি, তারা আগামী ১৬ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাওয়া নতুন অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন করতে পারবেন এবং আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে এবার প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ডাকযোগে বা পোস্টাল ভোটিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেসব প্রবাসী ভোটার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে নিবন্ধিত হবেন, তারা এই সুবিধা পাবেন। আগামী ১৬ নভেম্বর অ্যাপটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের সময় কতদিন পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে, সেই সময়সীমাও জানানো হবে।
সচিব স্পষ্ট করে দেন যে প্রবাসী ভোটারদের ক্ষেত্রে প্রথমে ভোটার হিসেবে নিবন্ধন এবং এরপর ভোট প্রদানের জন্য নিবন্ধন— এই দুটি বিষয় প্রাসঙ্গিক। এছাড়া নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদনগুলো বর্তমানে পর্যালোচনাধীন রয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে এই সপ্তাহের মধ্যেই বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যাবে।
ইএ/টিএ