মাত্র ২৫ বছর বয়সী থাইল্যান্ডের পাসারা পাতারার্তোনকে বাংলাদেশ টেবিল টেনিসের কোচ করেছিল ফেডারেশন। দুই মাসের চুক্তি শেষে পাসারা থাইল্যান্ড ফিরে গেছেন। এখন তার স্থলাষিভিক্ত করার চেষ্টা করছে ইরানি কোচ মিদিয়াকে।
টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ সনেট বলেন, 'মিদিয়া ইরান টিটি দলের সহকারী কোচ। তার সঙ্গে আর্থিক বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। পাসারা আমাদের টিটি ক্যাম্পেই থাকতেন। ইরানি কোচ এখানে থাকতে চান না। এটা নিয়ে আলোচনা শেষ হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত হবে।'
যেকোনো খেলায় জাতীয় দলের কোচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জাতীয় দল কিংবা ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির মাধ্যমে অনেক ফেডারেশনে জাতীয় দলের কোচ নিয়োগ বা বদলের সিদ্ধান্ত হয়। টিটির প্রক্রিয়া সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমরা আজ রাতে অনানুষ্ঠানিক একটা সভা করব এক কমিটির। পরবর্তীতে ইসি কমিটিতে অনুমোদন নেব।'
ইরানী কোচ শেষ পর্যন্ত আসলে তার পেছনে মাসে ৪-৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে। টেবিল টেনিস ফেডারেশনের প্রতি মাসে এই ব্যয়ের সামর্থ্য বাস্তবিক অর্থে নেই। এ নিয়ে সনেট বলেন, 'একটা জাতীয় ফেডারেশনের মাসে ৩-৪ লাখ টাকা জাতীয় দল কিংবা কোচের জন্য ব্যয় করতেই হবে। আমরা স্পন্সর নিয়ে হোক অথবা ব্যক্তি প্রচেষ্টায় টিটির উন্নয়নের জন্য এটি অব্যাহত রাখব।'
বাংলাদেশ টিটি দল দিন তিনেক পর ইসলামিক সলিডারিটি গেমস খেলতে রওনা হবে। থাইল্যান্ডের কোচের অধীনে খেলোয়াড়রা অনুশীলন করলেও এখন দেশীয় কোচ মোস্তফা বিল্লাহ'র অধীনে যাচ্ছে। তাই থাই কোচের অনুশীলনের উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের ব্যাখ্যা, 'পাসারা থাকলে অবশ্যই ভালো হতো। আমরা তাকে রাখার চেষ্টাও করেছি কিন্তু তার অন্য কমিটমেন্ট রয়েছে। পাসারার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের উন্নতি হয়েছে। বিশেষ তার সঙ্গে গেম খেলায় খেলোয়াড়দের লড়াই করার সামর্থ্য বেড়েছে।'
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক থাই কোচিংয়ে উন্নতির কথা বললেও এশিয়ান টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে সেটার প্রতিফলন নেই। ২০২৩ সালে পুরুষ দল যেখানে হয়েছিল ১৪ তম এবার হয়েছে ১৯ তম। মহিলা দলও ১৪ তম অবস্থান থেকে সরে বিশ দেশের মধ্যে বিশতম হয়েছে। তাহলে উন্নতি কোথায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাধারণ সম্পাদকের ব্যাখ্যা, 'সাফ টিটিতে আমাদের পারফরম্যান্স খারাপ ছিল। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা নেপালকে হারিয়েছি। দুই বছরে এশিয়ান টিটির মান ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়েছে। আমরা সেভাবে মান উন্নয়নে কাজ করতে পারিনি।'
টেবিল টেনিস ফেডারেশনের বর্তমান অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রায় সকল বিষয়ই মিডিয়াকে অবহিত করত। টেবিল টেনিসের জন্য এশিয়ান টিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। সেই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দল খেলতে যাওয়ার আগে কিংবা যাওয়ার পরও জানায়নি ফেডারেশন। এমনকি সেখান থেকে কোনো ফলাফলও দেয়নি। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করায় মিডিয়া ও জনগণের ফলাফল জানার অধিকার রয়েছে। এ নিয়ে ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, 'ফলাফল যাই হোক এটা আমাদের অবশ্যই সবাইকে জানানো উচিত ছিল। আগামীতে আমরা এ রকম ভুল আর করব না।'
ইএ/টিএ