আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য চৌধুরী নায়াব ইউসুফের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
             
        
সোমবার (৩ নভেম্বর) দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় ৩০০ আসনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এক সময়ের বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসনটি পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে দলটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের নেতৃত্বের ওপরই আস্থা রেখেছে দলটি।
 
চৌধুরী নায়াব ইউসুফ কেবল রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে নয়, তিনি নিজে দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক হিসেবে পরিচিত। তিনি বর্তমানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।
 
দলের গত এক দশকেরও বেশি সময়ের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, বিশেষ করে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ফরিদপুর বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংগঠিত রাখতে এবং কেন্দ্রীয় নির্দেশনা বাস্তবায়নে তাকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। তার এই স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং দলের প্রতি অবিচল আনুগত্যকেই তার মনোনয়নের প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
 
নায়াব ইউসুফ ফরিদপুরের অন্যতম সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার বাবা বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ মরহুম চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ফরিদপুর-৩ আসন থেকেই ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিএনপি সরকারের আমলে দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পরবর্তীতে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেন।
 
শুধু তাই নয়, নায়াব ইউসুফের দাদা মরহুম চৌধুরী ইউসুফ আলী (মোহন মিয়া) ছিলেন এই অঞ্চলের কিংবদন্তী নেতা, যুক্তফ্রন্টের প্রাদেশিক মন্ত্রী এবং একজন প্রখ্যাত সমাজসেবক। প্রায় দুই শতাব্দী ধরে এই পরিবারটি ফরিদপুর অঞ্চলের রাজনীতি, সমাজসেবা ও নেতৃত্বে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে। ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির একটি শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। চৌধুরী নায়াব ইউসুফের মনোনয়ন নিয়ে আশাবাদী স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
 
তৃণমূলের কর্মীরা মনে করছেন, নায়াব ইউসুফের মনোনয়ন একজন নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক এবং একটি জনপ্রিয় পরিবারের ঐতিহ্যকে একসূত্রে গাঁথতে পারবে। তারা আশা করছেন, বাবার জনপ্রিয়তার বিশাল ভিত্তি এবং নায়াব ইউসুফের নিজস্ব সাংগঠনিক দক্ষতার সমন্বয়ে এই মর্যাদাপূর্ণ আসনটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।
এসএস/টিএ