ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেছেন, তার দলের নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড এখন গোল করার দিক থেকে লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সমতায় পৌঁছে গেছেন।
গত শনিবার বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়ের ম্যাচে হালান্ডের জোড়া গোলেই জয় নিশ্চিত করে ম্যানচেস্টার সিটি। চলতি মৌসুমে তিনি এখন পর্যন্ত ১১ গোল করেছেন— যা প্রিমিয়ার লিগে গোল্ডেন বুট দৌড়ে তাকে শীর্ষে রেখেছে। পরবর্তী চারজনের গোলসংখ্যা মাত্র ছয়।
হালান্ড ম্যানসিটির হয়ে লিগে ১০০ গোলের মাইলফলক থেকে মাত্র দুই গোল দূরে। গার্দিওলার মতে, গোলের ধারাবাহিকতা ও নির্ভরযোগ্যতায় হালান্ড এখন ঠিক সেই জায়গায়, যেখানে মেসি ও রোনালদো ছিলেন তাদের সেরা সময়ে।
‘মেসি-রোনালদোর মতোই প্রভাব বিস্তার করছে হালান্ড’- বলেন মেসির সাবেক কোচ গার্দিওলা। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দারুণ খেলেছি, অবশ্যই হালান্ড ছিল নির্ধারক। এটা অনেকটা মেসি বা রোনালদোর সঙ্গে খেলার মতো, জানেন তো? মাঠে তাদের প্রভাব এতটাই বিশাল।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আপনি যদি ছেলেটার (হালান্ড) পরিসংখ্যান দেখেন— ওহ মাই গড! অবশ্যই সে মেসি ও রোনালদোর সংখ্যার স্তরে পৌঁছে গেছে। একমাত্র পার্থক্য হলো, মেসি আর রোনালদো এটা ১৫ বছর ধরে করে আসছে। মেসি এখনো এমএলএস-এ খেলছে এবং প্রতিদিন দুই-তিনটা গোল করছে। রোনালদোও সৌদি লিগে একইভাবে চলছে।’
গার্দিওলার মতে, হালান্ডের গোলের ক্ষুধা ও শেখার আগ্রহই তাকে এই উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ‘যেভাবে সে শট নেয়, মাটির ওপর দিয়ে বল ছোড়ে... মনে হয়, আমি গোল করব। আমি অনেকবার বলেছি, সে অবিশ্বাস্যভাবে ‘কোচেবল’। আমি মাঝে মাঝে কঠিনও হই তার সঙ্গে; কিন্তু সে মনোযোগী, বিনয়ী এবং শুধুই গোলের জন্য বাঁচে।’
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ১০৭ ম্যাচে হালান্ডের গোল ৯৮টি, যা তাকে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের দ্রুততম ১০০ গোলদাতার রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। এই মুহূর্তে রেকর্ডটি অ্যালান শিয়ারারের দখলে, যিনি ১২৪ ম্যাচে ১০০ গোল করেছিলেন।
আগামী রবিবার ইত্তিহাদে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুল। এই ম্যাচটি শিরোপা দৌড়ে আর্সেনালের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গার্দিওলা বলেন, ‘আর্সেনাল এখন দুর্দান্ত ফর্মে আছে; কিন্তু আমি অনুভব করছি আমাদের দলও প্রতিদিন আরও ভালো হচ্ছে। এখনো ২৮ ম্যাচ বাকি, অনেক কিছুই ঘটবে।’
বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে গার্দিওলা রেফারি অ্যান্থনি টেইলরকে নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক গোল হজম করেছি, যা আসলে রেফারির সিদ্ধান্তে অবিশ্বাস্য ভুল ছিল। আমি এখানে দশ বছর ধরে আছি এবং জানি আমাদের সঙ্গে কী হয়। তবু আমরা যা অর্জন করেছি, তাতে আমি গর্বিত।’
রেফারিদে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনো রেফারিদের ফোন করি না, আমার সময় নেই। তবে আমি তাকে বলেছি, এটা ফাউল ছিল কি না— শুধু বলো। এখানকার রেফারিরা খুব সাহসী, ইত্তিহাদে তো আরও সাহসী।’
আইকে/টিএ