ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকান, উদ্বাস্তু, ভবঘুরে ও নেশাগ্রস্তদের উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে আলোচনা সমালোচনা চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে কাজ করার কথা জানালেও সমালোচনার মুখে আর মাঠে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন সর্ব মিত্র চাকমা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেয়া এক পোস্টে তিনি ঘোষণা দেন।
ফেসবুক পোস্টে সর্ব মিত্র চাকমা লেখেন, যে বৃদ্ধ লোকটিকে দেখছেন, আমি শুরুর দিন থেকে এই লোকটাকে সেই মেট্রো স্টেশন থেকে তুলছি প্রতিরাতে। লোকটা ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়-ই না, উনার সাথে আরেকজন আরো বৃদ্ধ, উনিও মাদকাসক্ত, এই লোকের কাছে এর আগে একবার গাঁজা পাওয়া গেছিল।এই লোকগুলোকে তোলাটা অত্যন্ত কঠিন, তুললে আগায় ৪ কদম। তাই, লাঠিসোঁটা ছাড়া বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন না করে তাদের তোলা যায় ই না।
তিনি আরও লেখেন, আমার নিজের এটার জন্য স্বার্থসিদ্ধি নাই, আমি আমার ক্যাম্পাসকে ভবঘুরে-পাগল-গাঁ জাখোর মুক্ত দেখতে চেয়েছিলাম শুধু।
আজ আমাদের নারী শিক্ষার্থী দু'জন হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়েছেন। আমার চাওয়া, এই ভবঘুরে-পাগল-হ্যারাসারমুক্ত ক্যাম্পাস গড়া।
ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য বলেন, কিন্তু, এরকম প্রতিনিয়ত বিতর্ক আমার ব্যক্তিগত জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করছে। এভাবে প্রক্টরিয়াল টিমের সাথে রাতে পাহারা দিয়ে উচ্ছেদ করাটা ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্যের কাজ না, আবার আমার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ছে না এমনটাও না।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে তিনজন মাদকাসেবীকে তুলতে গিয়েছিলাম, একইভাবে পোস্ট করে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হয়েছে।
এদের তাড়ানোর জন্য লাঠি হাতে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না, যারা মাঠে কাজ করে তারাই জানে এটা কতটুকু কঠিন।
সবশেষ সর্ব মিত্র চাকমা লেখেন, একজন সদস্য হিসেবে আমি নিশ্চয় নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে আমার তরফ থেকে কাজ করবো, কিন্তু মাঠে আমি আর থাকছি না। ধন্যবাদ।
এমআর/টিএ