আগামী প্রজন্মকে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় সমন্বিতভাবে গড়ে তুলতে চায় বিএনপি : আমিনুল হক

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, আগামী প্রজন্মকে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় সমন্বিতভাবে গড়ে তুলতে চায় বিএনপি। আমাদের সন্তানরা যেন পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে বিকশিত হয়, এটাই আমাদের লক্ষ্য।

বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর রূপনগরে রূপনগর আবাসিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ (প্রস্তাবিত) অডিটোরিয়ামে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষায় আমূল পরিবর্তনের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীর শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটি উন্নয়নশীল, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলা নির্ভর আধুনিক ব্যবস্থায় রূপান্তরের কর্মপরিকল্পনা নিয়েছেন। এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা এমন এক পরিবর্তন আনতে চাই, যাতে শিশুরা শুধু বইয়ের জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ না থাকে। তারা খেলাধুলা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে মানবিক ও সৃজনশীল নাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠতে পারে।

নারী শিক্ষায় বিএনপির ভূমিকা উল্লেখ করে বিএনপি সরকারের অতীত অবদানের কথা স্মরণ করে আমিনুল হক বলেন, বিএনপি যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, তখন নারী শিক্ষাকে ডিগ্রি পর্যন্ত অবৈতনিক করেছিল। নারী শিক্ষার বিস্তারে এটি ছিল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যার সুফল আজও সমাজ পাচ্ছে।

প্রত্যেক উপজেলায় ‘মিনি স্পোর্টস ভিলেজ’ ঘোষণা দিয়ে খেলাধুলার গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপি এই নেতা বলেন, আমরা সারা দেশের প্রতিটি উপজেলায় ইনডোর ফ্যাসিলিটিসসহ ‘মিনি স্পোর্টস ভিলেজ’ গড়ে তুলতে চাই। খেলাধুলা জাতিকে সুস্থ ও শক্তিশালী করে। তাই খেলাধুলার বিকাশে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।

প্রত্যেক ওয়ার্ডে মাঠ, বয়স্কদের হাঁটার পথ সুবিধা নিয়ে আমিনুল হক বলেন, আমাদের মহানগরে ১০০টি ওয়ার্ড আছে। আমরা চেষ্টা করছি প্রত্যেক ওয়ার্ডে অন্তত একটি করে খেলার মাঠ তৈরি করতে। মাঠগুলো সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করে খেলার উপযোগী করা হবে। মাঠের চারপাশে বয়স্কদের জন্য হাঁটার পথ থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এমআর  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আমি প্রার্থী হলে মামদানি জিততে পারতেন না : ট্রাম্প Nov 06, 2025
img
প্রথম সপ্তাহেই ১০ কোটির পথে পরেশ রাওয়ালের দ্য তাজ স্টোরি Nov 06, 2025
img
চব্বিশের যুবশক্তিকে নিয়েই ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চাই : শফিকুর রহমান Nov 06, 2025
img
এবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন পুতিন Nov 06, 2025
img
নয় মাসে ৮৩ কোটি টাকা খরচ করে আলী রীয়াজ পালালেন কেন- মোশাররফ আহমেদের প্রশ্ন Nov 06, 2025
img
৯ মাসে ৮০ হাজার নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন Nov 06, 2025
img
ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ফের হাসপাতালে দীপিকা Nov 06, 2025
img
৮ ইসলামিক দলের পদযাত্রা আজ Nov 06, 2025
img
ডিফেন্ডারকে লাথি মেরে ফের নিষিদ্ধ সুয়ারেজ Nov 06, 2025
img
বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া Nov 06, 2025
img
এবার রাউজানে বিএনপির ৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ Nov 06, 2025
ইসির সামনে শুয়ে শুনালেন জুলাইয়ের গল্প! Nov 06, 2025
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে দেড় টন পলিথিন জ/ব্দ! Nov 06, 2025
img
পদ্মার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে মহাসমাবেশে হারুনুর রশীদের যা বললেন Nov 06, 2025
img
পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলাতে বাধা দেবে না হকি ইন্ডিয়া Nov 06, 2025
img
প্রশ্ন করবেন না, সব বলে দেবো : পরীমণি Nov 06, 2025
img
সৌদির পর এবার কাতারের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে চায় পাকিস্তান Nov 06, 2025
img
আজকের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার দাম Nov 06, 2025
img
গ্যাং লিডার থেকে বিএনপির প্রচারণায়, কে এই বাবলা? Nov 06, 2025
img
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জোহরান মামদানির Nov 06, 2025