পুষ্টির ভাণ্ডার ডিম। প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলেই শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস এই ডিম মস্তিষ্ক, পেশি, চুল ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
একটি মাঝারি সাইজের ডিমের মধ্যে প্রায় ৬-৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
এতে হেলদি ফ্যাটও রয়েছে। তবে আপনি চাইলে ডিমের পুষ্টিগুণ আরো বাড়াতে পারে। এর জন্য ডিমের সঙ্গে খেতে পারেন এই ৫ পুষ্টিকর খাবারও। কী সেসব খাবার, জেনে নিন প্রতিবেদনে।
পালংশাক
ডিম ভাজা খেলে তাতে পালংশাকও দিতে পারেন। পালং শাকের মধ্যে আয়রন রয়েছে। ডিমের মধ্যে থাকা অ্যামিনো এসিড এই আয়রন শোষণে সাহায্য করবে। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ও কোষ গঠনের জন্য পালংশাক ও ডিম একসঙ্গে খেতে পারেন।
টমেটো
ডিমের সঙ্গে টমেটো খেতে পারেন। টমেটোর মধ্যে লাইকোপেন রয়েছে, যা এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কুসুমে থাকা ফ্যাট ওই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শোষণে সাহায্য করে। আবার এই লাইকোপেন ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই শোষণে সাহায্য করে। তাই ডিম ও টমেটো একসঙ্গে খেলে ভালো উপকার মেলে।
ওটস
ওটসের সঙ্গে ডিম রাখতে পারেন। ওটসের মধ্যে স্লো কার্বস ও ফাইবার রয়েছে। আর ডিমে রয়েছে প্রোটিন ও ফ্যাট। ব্রেকফাস্টে ওটস ও ডিম খেয়ে নিলেই পেট ভরে যাবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওটস ও ডিম একসঙ্গে খেতে পারেন। এই কম্বো ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও উপকারী।
বেল পেপার
ডিমের মধ্যে সব ধরনের পুষ্টি রয়েছে। কিন্তু ভিটামিন সি নেই। ডিম ভাজার সঙ্গে ক্যাপসিকাম বা বেল পেপার মিশিয়ে খেলে এই পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ হয়ে যাবে। ডিম ও বেল পেপার একসঙ্গে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। এই ফুড কম্বোর মধ্যে বিটা-ক্যারোটিন, লুটেন, হেলদি ফ্যাট রয়েছে, যা নানা উপায়ে শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
অ্যাভোকাডো
অনেকে ওয়েলনেস ইনফ্লুয়েন্সরদের দেখে অ্যাভোকাডো টোস্ট খাওয়া শুরু করেছেন। আপনিও যদি খেতে চান তবে তার ওপর ডিমের পোচ বা অমলেট রাখতে ভুলবেন না। ডিম সিদ্ধও খেতে পারেন। এই কম্বো স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপযোগী।
ডিমের মধ্যে ফ্যাট দ্রবণীয় ভিটামিন রয়েছে এবং অ্যাভোকাডোয় রয়েছে হেলদি ফ্যাট। তাই ডিম ও অ্যাভোকাডো একসঙ্গে খেলে একাধিক পুষ্টির ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়ে যায়। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকিও এড়ানো যায়।
এমকে/এসএন