চলতি বছর একটি হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি। গত ১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ডানপন্থী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করে আততায়ীরা। নিহত চার্লির স্ত্রী এরিকা কার্ক গণমাধ্যকে জানালেন সেই দিনটির মর্মান্তিক স্মৃতির কথা।
চার্লি কার্ক ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’ প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এরিকা কার্ক। ফক্স নিউজের উপস্থাপক জেসি ওয়াটার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এরিকা বলেন, ‘আমি শুধু চিৎকার করছিলাম— চার্লিকে গুলি করা হয়েছে! বাচ্চাদের নিয়ে যাও, নিরাপত্তারক্ষীদের ডাকো! তারপর আমি পার্কিং লটে পড়ে যাই। এটা ছিল এক অবিশ্বাস্য দুঃস্বপ্ন।’
এরিকা জানান, হত্যার আগের রাতে তিনি চার্লিকে মেয়ের ঘরে ঘুমোতে বলেছিলেন যাতে তিনি ভালোভাবে বিশ্রাম নিতে পারেন।
এরিকা বলেন, ‘সকালে খুব ভোরে সে উঠে নিঃশব্দে বেরিয়ে যায়। বাথরুম থেকে তার বিয়ের আংটি আর নেকলেস নিয়ে চলে যায়। আমি তাকে শেষ চুমু দিতে পারিনি।’
চিকিৎসক ও পুলিশ যখন এরিকাকে স্বামীর মৃতদেহ দেখার জন্য অপেক্ষা করতে বললে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরিকা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম— ‘আমি দেখতে চাই ওরা আমার স্বামীর সঙ্গে কী করেছে। তাকে সকালে চুমু দিতে পারিনি, এখন দিতে চাই।’
হাসপাতালে স্বামীর মৃতদেহ দেখে এরিকা বলেন, ‘চার্লির মুখে তখনও ছিল এক অদ্ভুত আত্মবিশ্বাসের ছাপ। তার মুখে ছিল সেই চেনা হাসিটা— যেন বলছে, তুমি ভেবেছিলে আমাকে থামাতে পারবে, আমার আন্দোলন শেষ করতে পারবে। তুমি আমার দেহ নিয়েছ, কিন্তু আত্মাকে নয়।’
এরিকা আরও বলেন, ‘আমি ভয় পাই না। চার্লিও পেত না। আমরা ভয় নিয়ে কখনও বাঁচিনি। যদি ভয় পেতাম, তাহলে কোনো কাজই করতে পারতাম না।’
ইউটি/টিএ