প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, শেখ হাসিনা এবং তার সমর্থকরা হতাশায় ডুবে গেছেন। শ্রাবণ মাসের পথহারা কুকুরের মতো অনিয়মিত আচরণ করছেন। রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতায় ফিরে আসার চেষ্টা করছেন।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) এক ফেসবুকে পোস্টে তিনি এসব মন্তব্য করেন। শফিকুল আলম, শেখ হাসিনা এবং তার মিত্ররা তার শাসনামলের বর্ণনা পুনর্লিখনের জন্য লক্ষ লক্ষ ডলার ব্যয় করে ব্যাপক জনসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিশেষ করে জুলাইয়ের আন্দোলনের সময় তার শাসনব্যবস্থা শত শত তরুণকে কতটা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল, তা গোপন করার জন্য।
শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন এবং কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্য তার সাক্ষাৎকারও নিয়েছে। জুলাইয়ের গণহত্যার উপর জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের তীব্র তদন্ত প্রতিবেদন পড়ার ঝামেলা ছাড়াই কার্যকরভাবে একজন গণহত্যার মঞ্চ তৈরি করেছে।
প্রেস সচিব বলেন, হাসিনার উদ্দেশ্য স্পষ্ট। তিনি জানেন যে, জুলাই মাসের গণহত্যায় তার ভূমিকার রায় আসন্ন এবং দোষী সাব্যস্ত হলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার প্রাসঙ্গিকতা স্থায়ীভাবে শেষ হয়ে যাবে।
প্রেসসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ এবং এর সমর্থকদের দ্বারা বিভ্রান্তি এবং সন্দেহের বীজ বপন করা সত্ত্বেও ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নির্ধারিত সময়সূচি অনুসারেই চলছে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্ব অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশের জনগণ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আর কখনো কোনো গণহত্যাকারীকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। এই ধরনের ব্যক্তিদের একমাত্র জায়গা হল কারাগার অথবা ফাঁসি।
প্রেস সচিব বলেন, বছরের পর বছর ধরে হাসিনা দেশে শেখপূজক সাংবাদিক, লেখক এবং সমর্থকদের একটি প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য লক্ষ লক্ষ ডলার ব্যয় করেছেন। সেই প্রকল্পটি ব্যর্থ হয়েছে। তাদের তৈরি আখ্যানগুলি বাংলাদেশের ইতিহাসের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দ্বারা ভেসে গেছে। এখন, হাসিনা আবার স্পটলাইট ফিরে পাওয়ার জন্য মরিয়া প্রচেষ্টায় বিদেশি পিআর ফার্ম এবং আইনি পরামর্শদাতাদের মধ্যে অর্থ ঢালছেন। তাও ব্যর্থ হবে। বিশ্ব জানে সে শিশু এবং তরুণদের গণহত্যাকারী।
এসএস/টিএ