গত আগস্ট মাসে সেরা পপুলার ছবির খেতাব জিতে নিয়েছে করন জোহরের ‘রকি আউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবি। ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি সিনেসমালোচক থেকে দর্শকমহলে বহুল প্রশংসিত হয়েছিল। বক্স অফিসেও ধরা দিয়েছিল করণ জোহরের বহু প্রতীক্ষিত সাফল্য। এবার সেই সিনেমার ঝুলিতেই এল জোড়া জাতীয় পুরস্কার। সেরা কোরিওগ্রাফির পুরস্কারও পেয়েছে এই সিনেমা। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে দর্শকদের ধন্যবাদ জানান পরিচালক-প্রযোজক করণ জোহরও।
বছরের পর বছর দর্শকদের একের পর এক প্রেমের ছবি উপহার দিয়েছেন করণ। কিন্তু পর্দায় যিনি রোম্যান্সের সংজ্ঞা বোনেন তাঁর জীবনে ঠিক কতটা নিঃসঙ্গতা তা বোধহয় কেউই জানতেন না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই নিয়েই মুখ খুললেন করণ। সম্প্রতি সানিয়া মির্জার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে করণ বলেন, “আমি যখন জাতীয় পুরস্কার নিতে যাই তখন আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা মনখারাপও আমাকে গ্রাস করেছিল।
ওই অনুষ্ঠানে যিনি পুরস্কার নিচ্ছেন তিনি তাঁর সঙ্গে একজন কাউকে নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু আমার সঙ্গে আমার এই সাফল্য উদযাপনে কেউ ছিল না। যখন আমাকে অনুষ্ঠানে জিজ্ঞেস করা হয় আপনার সঙ্গে কে এসেছেন?
আমি বলি ‘কেউ আসেনি’। মানুষের জীবনে খারাপ সময়ে যেমন একজন মানুষকে প্রয়োজন হয় তেমনই ভালো সময়, জীবনের বিশেষ বিশেষ দিনেও কাউকে একটা প্রয়োজন হয়। আমার সেই জায়গাটা নেই। আমি জানি না নিজের মনখারাপ কার কাছে উজাড় করে বলব। কার কাছে গিয়ে আশ্রয় নেব। আমার এমন একটা মানুষ নেই যার ভালো দিনে আমি তাঁকে বলতে পারি যে, ‘আমি তোমার জন্য গর্বিত।’
একইসঙ্গে করণ আরও বলেন, “আমার মা বার্ধক্যের কারণে আমার সঙ্গে যেতে পারেননি। এছাড়াও আমার দুই সন্তানও যেতে পারেনি আমার সঙ্গে। ” উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ২৭ বছর বয়সী করণ প্রথম জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির জন্য। সেই সময় পুরস্কার নিতে করণ গিয়েছিলেন বাবা যশ জোহরের সঙ্গে। সেইসময়টা ছিল একেবারেই আলাদা। সেদিন আর এই জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তির দিনে অনেকটা পার্থক্য। যা সময়ের সঙ্গে এসেছে করণের জীবনেও। সেই মনখারাপের কথাই তুলে ধরেছেন সাক্ষাৎকারে করণ।
কেএন/টিএ