ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা-১৮ আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী এম কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শুধু বিএনপি করার কারণে আমার নামে ১৫৪টি মামলা হয়েছিল। এমনকি মিথ্যা মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডের রায়ও হয়েছিল।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর দক্ষিণখানে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে আওয়ামী দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কফিল উদ্দিন বলেন, আমি যদি ধানের শীষের মনোনয়ন পাই এবং আপনাদের দোয়ায় এমপি হতে পারি, ইনশাআল্লাহ এই এলাকার মানুষের নিত্যদিনের যাবতীয় প্রয়োজন পূরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, এই এলাকার রাস্তা-ঘাটের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। জনগণের দোয়ায় যদি সুযোগ পাই, তবে রাস্তাঘাট সংস্কার থেকে শুরু করে বিধবা, বয়স্ক ও বেকার ভাতার কার্ডসহ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।
বিগত আওয়ামী দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এই যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, শুধু বিএনপি করার কারণে আমার নামে ১৫৪টি মামলা হয়েছিল, এমনকি ১৭ বছরের কারাদণ্ডের রায়ও হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে মানুষ ভয়ভীতির মধ্যে দিন কাটিয়েছে। মসজিদের খতিবরাও তখন মুক্তভাবে কথা বলতে পারতেন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হতে হতো।
তিনি বলেন, বিএনপি হলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গঠিত একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এখানে কোনো বিশৃঙ্খলা নেই, নেই দুঃশাসন।
উঠান বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য মোতালেব হোসেন রতন। এ ছাড়া স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নেতারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র সংস্কারের দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।
বৈঠক শেষে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার এবং আগামী নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয়ী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরপি/টিকে