রেললাইনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে সিলেটে ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার হাটুভাঙা গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে কাবিলুর রহমান সোহেল (২৪), পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন মাহিন (২০), পূর্ব ফরিদপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে সায়মন আহমদ (২০), কায়েস্তগ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে মুহিবুল ইসলাম কাওসার এবং হবিগঞ্জের বাহুবল থানার বড়গাঁওর ফরিদ চৌধুরীর ছেলে সিজিল চৌধুরী।
এ বিষয়ে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাইজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন, উপজেলা পরিষদ, শাহজালাল সারকারখানাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ককটেল বিস্ফোরণ ও রেললাইন খুলে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে সোমবার গভীর রাতে সিলেট-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক সড়কের ফেঞ্চুগঞ্জ থানার কচুয়াবহর এলাকায় চেকপোস্ট পরিচালনা করে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাবিলুর রহমান সোহেলকে আটক করি আমরা। এরপর তার তথ্যের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে বাকি ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরো বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রলীগ নেতা কাবিলুর রহমান সোহেল জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নিউইয়র্ক যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নির্দেশ ও অর্থায়নে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা বৃহস্পতিবার লকডাউন কর্মসূচিকে সামনে রেখে নাশকতার পরিকল্পনা নিয়েছিল তারা। ফেঞ্চুগঞ্জে রেললাইনের স্লিপার খুলে বড় ধরনের নাশকতা করতে চেয়েছিল তারা। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ককটেল বিস্ফোরণ করে তারা এলাকায় ভীতি সঞ্চার ও জানমালের ক্ষতি সাধনের পরিকল্পনা নিয়েছিল।’
আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা ও চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে ককটেল তৈরির সরঞ্জাম স্কচটেপ, মারবেল, বালতিসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।’
ইউটি/টিএ