মার্কিন বিমান বা স্থল আক্রমণ প্রতিহত করতে গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভেনেজুয়েলা। এর মধ্যে কয়েক দশকের পুরনো রাশিয়ান তৈরি সরঞ্জামসহ অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। বিষয়টির সাথে পরিচিত সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় স্থল অভিযান চালানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন।
ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক পাচারকারী জাহাজের উপর বেশ কয়েকবার হামলা এবং এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর মোতায়েন করার পর এই ইঙ্গিত দেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপ হবে স্থলপথ।
অবশ্য পরে তিনি ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে হামলার কথা বিবেচনা করছেন-এমন কথা অস্বীকার করেছেন।
এদিকে, ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, ট্রাম্প তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছেন এবং ভেনেজুয়েলার নাগরিক এবং সামরিক বাহিনী এই ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করবে।
রয়টার্সের দেখা সূত্র এবং কয়েক বছরের পুরনো পরিকল্পনার নথি অনুসারে, গেরিলা-ধাঁচের প্রতিরক্ষা নিতে শুরু করেছে ভেনেজুয়েলা। যাকে সরকার ‘দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ’ বলে অভিহিত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৮০ টিরও বেশি স্থানে ছোট সামরিক ইউনিটগুলোকে নাশকতা এবং অন্যান্য গেরিলা কৌশল পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দ্বিতীয় কৌশল হিসেবে তারা গোয়েন্দা সংস্থা এবং সশস্ত্র শাসকদলের সমর্থকদের ব্যবহার করে রাজধানী কারাকাসের রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে যা বিদেশি বাহিনীর জন্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
তবে, মার্কিন আক্রমণের ক্ষেত্রে সরকার কখন কৌশলগুলো প্রয়োগ করতে পারে তা স্পষ্ট নয়।
পিএ/এসএন