কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড বুধবার একে অপরের বিরুদ্ধে সীমান্তে নতুন সংঘর্ষের অভিযোগ তুলেছে। কম্বোডিয়ার রাজধানী নম পেন জানিয়েছে, এই সংঘর্ষে এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে এমন এক সময়ে, যখন ব্যাংকক যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত এক শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে।
গত গ্রীষ্মে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ দিনব্যাপী যুদ্ধ হয়েছিল, যাতে ৪৩ জন নিহত ও প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়।
তবে সোমবার থাইল্যান্ড নতুন করে স্বাক্ষরিত চুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করে, দাবি করে যে নতুনভাবে পাতা একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে চারজন সেনা আহত হয়েছেন। এর মাত্র দুই দিন পরই, দুই দেশের কর্মকর্তারা সীমান্তের উভয় দিক থেকে গুলিবিনিময়ের খবর দেন। এই সংঘর্ষ ঘটে থাইল্যান্ডের সা কেও প্রদেশ ও কম্বোডিয়ার বানতেয় মেনচে প্রদেশের সীমানায়।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘এই ঘটনায় তিনজন বেসামরিক আহত এবং একজন নিহত হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই পদক্ষেপ মানবিক চেতনার পরিপন্থী এবং সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান বিষয়ে সাম্প্রতিক চুক্তিগুলোর লঙ্ঘন।’
অন্যদিকে রয়্যাল থাই আর্মির মুখপাত্র উইন্থাই সুবারি কম্বোডীয় সেনাদের দোষারোপ করে বলেন, ‘কম্বোডীয় বাহিনী থাইল্যান্ডের ভূখণ্ডে গুলি চালায়।’ তিনি জানান, ‘থাই সেনারা আশ্রয় নেয় এবং সতর্কতামূলক গুলি ছোড়ে।
ঘটনাটি প্রায় ১০ মিনিট স্থায়ী হয় এবং কোনো থাই হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে তিনি দাবি করেন। কম্বোডিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে আহত বেসামরিক নাগরিকদের দেখা যায় বলে দাবি করা হয়েছে। একটি ছবিতে দেখা যায়, এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এসএস/টিএ