কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীরা ‘রশি লাগলে রশি নে, আওয়ামী লীগের ফাঁসি দে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’৷ ‘মুক্তির মূল মন্ত্র, ইসলামী শাসনতন্ত্র’, ‘মুজিববাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা সাইজ কর”-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
মিছিলে সংগঠনটির শাখা সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাতসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, “হাজারো শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। আজকের এই বাংলাদেশ নিয়ে ওপার বাংলা থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ওপার বাংলার প্রেসক্রিপশনে এই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা হবে। এগুলো বাংলাদেশের আপামর জনতা মেনে নেবে না।
আমাদের সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কথিত ব্যবস্থা নিলেও কাঙ্খিত এবং পরিপূর্ণভাবে আমাদের আশার ব্যপ্তি ঘটবে এমন সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টরের আদেশে আন্দোলনকালীন সময়ে ছাত্রদের মেস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই প্রক্টরের বহিষ্কার আদেশের দাবি জানাই। তৎকালীন ছাত্র উপদেষ্টাকে সাময়িক বহিষ্কারের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানাই।”
তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীরা হল থেকে বের হতে চায়নি। কিন্তু জোর করে তাদের বের করে দেওয়া হয়। ৪ তারিখ যে শিক্ষকরা মিছিল করেছিল, সেদিন তারা তাদের সন্তানদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মিছিল করছিল। তারা সন্তানদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এবং বলেছিল, আর নয় হেলাফেলা, এবার হবে ফাইনাল খেলা। আমরা সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তাদের পূর্ণাঙ্গভাবে বিচার চাই।”
এমআর/টিএ