তুরস্কে ইউক্রেনের সঙ্গে ফের শান্তি সংলাপ শুরু করতে চায় রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অ্যালেক্সেই পোলিশচুকের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রুশ বার্তাসংস্থা তাস।
আজ বুধবার তাসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পোলিশচুক। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “বর্তমানে ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের কারণে শান্তি আলোচনা স্থগিত আছে। তুরস্কের কর্মকর্তারা বার বার তাদের আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়ার প্রতিনিধিদল আলোচনার জন্য প্রস্তুত। এখন বল ইউক্রেনের কোর্টে।”
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণ সাগরের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের আবেদনকে ঘিরে কয়েক বছর টানাপোড়েন চলার ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী।
অভিযান শুরুর পর আট মাসের মধ্যে ইউক্রেনের ২ পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ঝাপোরিজ্জিয়া এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খেরসনের বড় অংশ দখল করে রুশ বাহিনী। ওই বছরই ইউক্রেনের এই চার প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মস্কো।
যুদ্ধ শুরুর ১৫ দিন পর প্রথম বেলারুশে শান্তি সংলাপ শুরু হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। কিন্তু এক সপ্তাহ পরে তা ভেস্তে যায়। এরপর ২০২৩ সালে তুরস্কের আঙ্কারায় ফের শান্তি সংলাপ শুরু হয় দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে। কিন্তু দু’সপ্তাহ চলার পর সেটিও পণ্ড হয়ে যায়।
অবশেষে গত মে মাসে তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি সংলাপ শুরু হয় দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে। কিন্তু দু’মাস সংলাপ চলার পর গত ২৩ জুলাই থেকে তা স্থবির হয়ে আছে।
সর্বশেষ সংলাপে দুই পক্ষ এই মর্মে একমত হয়েছিল যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি মুখোমুখি বৈঠক করবেন। তবে রাশিয়া শর্ত দিয়েছিল, সেই বৈঠক হতে হবে মস্কোতে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এতে রাজি হননি। তারপর থেকেই স্থবির হয়ে আছে দুই দেশের প্রতিনিধিদের শান্তি সংলাপ।
সূত্র : রয়টার্স
এমআর/টিএ