ম্যাচের প্রথম বলেই ছক্কা! একটি বার্তা বটে। ওভারের শেষটিও হলো বাউন্ডারিতে। কিন্তু প্রভাত তো সবসময় দিনের পূর্বাভাস ঠিকঠাক দিতে পারে না। শুরুর ওই ঝলক দেখিয়েই শেষ শেই হোপ। ক্যারিবিয়ান ব্যাটিংও ভেঙে পড়ল পরের সময়টায়। শুরুতে ছক্কা-চার হজম করা জেকব ডাফি প্রবল প্রতাপে ফিরে শিকার করলেন চার উইকেট। সহজেই ম্যাচ জিতে সিরিজও জিতে নিল নিউ জিল্যান্ড।
পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল নিউ জিল্যান্ড।
সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের ফয়সালা হয়েছিল শেষ ওভারে। চতুর্থ ম্যাচ পরিত্যক্ত হয় বৃষ্টিতে। শেষ ম্যাচে লড়াই জমাতেই পারল না ক্যারিবিয়ানরা।ডানেডিনে বৃহস্পতিবার ক্যারিবিয়ানদের ১৪০ রানে আটকে রেখে কিউইরা জিতে যায় ২৬ বল বাকি রেখে।
৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা জেকব ডাফি। ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরাও এই পেসারই।
ক্যারিবিয়ানদের শুরুর ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা দূর করতে এ দিন তিন নম্বর ছেড়ে ওপেন করেন শেই হোপ। তবে ও ছক্কা-চার মেরেই তিনি বিদায় নেন। শুরুটা যদিও আলিক আথানেজকে দিয়ে। ১২ রানের প্রথম ওভারের পর দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন আথানেজ।
এরপর তৃতীয় ওভারে ডাফি শিকার করেন তিন উইকেট! শর্ট বলে বড় শটের চেষ্টায় ফেরেন হোপ, মুভমেন্ট ও গতিতে বোল্ড হন আকিম ওগিস, বাজে শটে শূন্য রানে ফেরেন শেরফেন রাদারফোর্ড।
এই নিয়ে চার ইনিংসে তৃতীয়বার শূন্যতে ফিরলেন রাদারফোর্ড। সবশেষ ১২ ইনিংসে শূন্যতে আউট হলেন পঞ্চমবার।
২১ রানে ৪ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেভাবে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। মিডল অর্ডারে কেবল রোস্টন চেইস ৩২ বলে ৩৮ রান করলেও অন্যরা দাঁড়াতে পারেননি। এক পর্যায়ে একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল তারা। আটে নেমে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ২২ বলে ৩৬ রান করে দলকে ১৪০ রানে নিয়ে যান রোমারিও শেফার্ড।
ওই পুঁজি লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি অনুমিতভাবেই। উদ্বোধনী জুটিতেই প্রায় অর্ধেক পথ পাড়ি দেয় নিউ জিল্যান্ড। ৭ ওভারে ৬৯ রান তোলেন টিম রবিনসন ও ডেভন কনওয়ে।
২৪ বলে ৪৫ করে আউট হন রবিনসন। তিনে নেমে রাচিন রাভিন্দ্রা আউট হন ১৬ বলে ২১ করে। তবে কনওয়ে অপরাজিত রয়ে যান ৪২ বলে ৪৭ রান করে। শেষ দিকে দুটি ছক্কায় ম্যাচ দ্রুত শেষ করে দেন মার্ক চ্যাপম্যান (১৩ বলে ২১)।
দুই দল এখন লড়বে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজটি শুরু রোববার, পরের দুই ম্যাচ নেপিয়ার ও হ্যামিল্টনে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮.৪ ওভারে ১৪০ (হোপ ১১, আথানেজ ১, ওগিস ৮, চেইস ৩৮, রাদারফোর্ড ০, পাওয়েল ১১, হোল্ডার ২০, শেফার্ড ৩৬, ফোর্ড ০, স্প্রিঙ্গার ৯*, সিলস ০; ডাফি ৪-০-৩৫-৪, জেমিসন ২-০-১৩-১, নিশাম ৩.৪-০-৩১-২ ব্রেসওয়েল ২-০-১৪-১, সোধি ৪-০-২৯-১, স্যান্টনার ৩-০-১৬-১)।
নিউ জিল্যান্ড: ১৫.৪ ওভারে ১৪১/২ (রবিনসন ৪৫, কনওয়ে ৪৭*, রাভিন্দ্রা ২১, চ্যাপম্যান ২১*; ফোর্ড ৩-০-১৭-০, সিলস ৩-০-৪১-০, হোল্ডার ২-০-২৩-০, চেইস ৩-০-২৮-০, শেফার্ড ২.৪-০-২১-১, স্প্রিঙ্গার ২-০-৮-০)।
ফল: নিউ জিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ সিরিজে নিউ জিল্যান্ড ৩-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: জেকব ডাফি।
ম্যান অব দা সিরিজ: জেকব ডাফি।
এমআর/টিএ