হকিতে বাংলাদেশ কখনো পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্লে অফ সিরিজেও পাকিস্তান কাছে তাদের হার অনুমেয়ই ছিল। তবে প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের ব্যবধান ৮-২ গোল হওয়ায় হারের যন্ত্রণা একটু বেশিই।
প্রথম কোয়ার্টারে স্কোরলাইন ছিল ১-১। দ্বিতীয় কোয়ার্টার থেকে বাংলাদেশ খেলায় ছিটকে যায়। এরপর খেলা যত গড়িয়েছে, পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তত বেড়েছে। আগামীকাল দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই পাকিস্তান বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলবে। তখন তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ হবে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
ম্যাচের চার মিনিটে বাংলাদেশের জন্য দুটি বড় ঘটনা ঘটে একসঙ্গে। পাকিস্তানের খেলোয়াড়ের হিট ঠেকাতে গিয়ে মাথায় আঘাত পান রোমান সরকার। সঙ্গে সঙ্গেই টার্ফে লুটিয়ে পড়েন। ব্যান্ডেজের পরও রক্ত ঝরতে থাকায় দ্রুতই অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নেওয়া হয় রোমানকে। এরপর পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে পাকিস্তানকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক আম্মাদ শাকিল ভাট। প্রথম কোয়ার্টারের শেষ মিনিটে রিভার্স হিটে হুজাইফা হোসেন সমতার স্বস্তি এনে দেন দলকে।
দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুর দিকে নাদিম আহমেদের ফিল্ড গোলে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। ২৪ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার (পিসি) থেকে ব্যবধান আরো বাড়ান আফরাজ। এই কোয়ার্টারের শেষ দিকে দারুণ হিটে নিজের দ্বিতীয় গোলও তুলে নেন তিনি। তৃতীয় কোয়ার্টারে আল ঘাজানফার ও ওয়াহিদ রানার গোলে বড় জয়ের পথে ছুটতে থাকে পাকিস্তান।
চতুর্থ কোয়ার্টারের শুরুতে শাহিদ হান্নানের ফিল্ড গোলে ব্যবধান আরো বাড়ে। ৫৬ মিনিটে নাদিম আহমাদ নিখুঁত হিটে পাকিস্তানকে এনে দেন অষ্টম গোল। ৫৮তম মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে বাংলাদেশের পরাজয়ের ব্যবধান কমান আমিরুল ইসলাম।
ঢাকায় প্রায় সাড়ে তিন বছর পর আন্তর্জাতিক হকি। তাই সাবেক তারকা খেলোয়াড়রা বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াই দেখতে এসেছিলেন। জাতীয় দলের এক সময়ের তারকা খেলোয়াড় রফিকুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবধান অনেক। সেটা মাঠে স্পষ্টই ছিল। এরপরও পরাজয়ের ব্যবধান কমতে পারত, বাংলাদেশের ছোটখাটো ভুলে সেটা বড় হয়েছে।’
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক রেজাউল করিম বাবু বলেন, ‘রোমান দলের সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড়। অল্প সময়ের মধ্যে সে মাঠ ছাড়ায় খেলায় অবশ্যই প্রভাব পড়েছে। আমরা পেনাল্টি কর্নারগুলো ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারিনি, আবার কিছু ভুলও করেছি। এতে ফলাফলের ব্যবধান বেশি হয়েছে।’
টিএম/টিএ
