ঢাকার জাতীয় ঈদগাহের সামনে দুটি নীল রঙের ড্রামভর্তি অজ্ঞাতপরিচয় একজনের খণ্ডিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে পুলিশ। পুলিশ বলছে, দুজন ব্যক্তি দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে ভ্যানে করে ড্রাম দুটি রেখে যান। সন্ধ্যায় দুর্গন্ধ ছড়ালে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে একটি ভ্যানে দুজন ব্যক্তি এসে ড্রাম দুটি রাস্তার পাশে রেখে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা এতটুকু বলতে পারছেন। সন্ধ্যায় যখন দুর্গন্ধ ছড়ায় তখন পুলিশকে খবর দিলে ড্রাম খুলে চালের মধ্য থেকে কালো পলিথিনে মোড়ানো খণ্ডিত মরদেহ বের করা হয়। আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পরবর্তীতে জড়িতদের শনাক্তে চেষ্টা করা হবে।
ডিসি মাসুদ বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে মরদেহের পরিচয় শনাক্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিচ্ছে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরদেহ পাঠানো হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ এসে ড্রাম দুটি খুলে অজ্ঞাতপরিচয় এক পুরুষের খণ্ডিত মরদেহ দেখতে পায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দুটি নীল রঙের ড্রাম থেকে মরদেহ বের করা হয়। ড্রামের মধ্যে চাল ছিল এবং কালো পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ছিল মরদেহের খণ্ডিত অংশ।
শাহাদাত হোসেন নামের একজন ড্রাম দুটি খুলে মরদেহ বের করেন। তিনি দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ এসে ড্রাম খুলতে বললে আমি ড্রাম খুলি। এরপর দুটি ড্রাম খুলে একজনের একাধিক খণ্ডে খণ্ডিত মরদেহ বের করি।
পুলিশের ধারণা, দু-একদিন আগে হত্যার পর হত্যাকারীরা এখানে ড্রামে করে মরদেহ ফেলে গেছেন।
টিজে/টিএ