নোয়াখালীতে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীর গণসংযোগে যুবদলের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে উভয় দলের অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের ইটপুকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার প্রতিবাদে রাতেই চাটখিল পৌর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত নেতাকর্মীরা। পরে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরাও পাল্টা বিক্ষোভ করেন, এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা ছাইফ উল্লাহ বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈকুন্ঠপুর স্কুল মাঠ এবং রামনারায়ণপুর লাল মসজিদ এলাকায় পূর্বনির্ধারিত গণসংযোগ করছিলেন। এ সময় আকস্মিকভাবে যুবদল কর্মীরা গণসংযোগে বাধা দেয় এবং পরে হামলা চালায়। হামলার ভিডিও ধারণ করতে গেলে স্থানীয় সাংবাদিকদেরও বাধা দেওয়া হয়।
হামলায় রামনারায়ণপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি হাফেজ আব্দুল মান্নান (৩৪), নাহিদ (২২)-সহ কয়েকজন আহত হন। তাদের মধ্যে দুজনকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রামনারায়ণপুর ইউনিয়ন জামায়াত সভাপতি হুমায়ুন কবির সুমন বলেন, “স্থানীয় যুবদল নেতা রিয়াদের নেতৃত্বে কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের গণসংযোগে হামলা করা হয়েছে। আমরা কর্মীদের শান্ত রেখেছিলাম বলেই বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়নি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
অন্যদিকে চাটখিল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছ আহমেদ হনিফ দাবি করেন, ইটপুকুরিয়া গ্রামের মসজিদে জামায়াত নেতারা ভোট চাইতে গেলে স্থানীয় এক মুরুব্বি আপত্তি জানান। এ নিয়ে তর্কবিতর্ক হয় এবং সেখানে আমাদের ছাত্রদল-যুবদলের পাঁচজন আহত হন।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে জামায়াত শিবির চাটখিল বাজারে এসে উল্টো বিক্ষোভ করে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার করে। আমরা পালটা বিক্ষোভ করেছি। পবিত্র মসজিদে নির্বাচনী জনসংযোগ করাকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
চাটখিল উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, যুবদলের নেতারা আমাদের শান্তিপূর্ণ গণসংযোগে অকারণে হামলা চালিয়েছে। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, পরবর্তী পরিস্থিতির দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।
চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দীন চৌধুরী দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, একজন প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগে হামলার অভিযোগ মৌখিকভাবে পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবি/টিকে