ম্যাচ জুড়ে আক্রমণে একচেটিয়া দাপট দেখাল ফ্রান্স। দারুণ কয়েকটি সেভ করলেন ইউক্রেইনের গোলরক্ষক। এর মাঝেই অবশ্য গোল মিলল চারটি। জয়ের পথে ফেরার পাশাপাশি এক ম্যাচ হাতে রেখে আগামী বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকেট নিশ্চিত করল দিদিয়ে দেশমের দল।
প্যারিসে বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি ৪-০ গোলে জিতেছে ফ্রান্স। সবকটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। জোড়া গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপে, আর মাইকেল ওলিসে ও উগো একিটিকে একটি করে।
আরেক ম্যাচে মলদোভার মাঠে শেষ দিকের দুই গোলে ২-০ ব্যবধানে জিতে কিঞ্চিৎ আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ইতালি। ৮৮তম মিনিটে জানলুকা মানচিনি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ান এসপোসিতো।
যদিও আগের দুই বিশ্বকাপে খেলতে না পারা ইতালির সরাসরি ২০২৬ আসরে খেলার বাস্তবিক সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ‘আই’ গ্রুপে দিনের প্রথম ম্যাচে এস্তোনিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া নরওয়ে সাত ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইতালি। আগামী রোববার মুখোমুখি হবে এই দুই দল। সেখানে শুধু জিতলেই হবে না ইতালির, নরওয়ের (২৯) সঙ্গে ১৭ গোলের ব্যবধানও ঘোচাতে হবে তাদের (১২), যা প্রায় অসম্ভব।
এবারের বাছাইয়ের প্রথম দেখায় হলান্ড-সরলথদের নরওয়ের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরেছিল চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের চূড়ায় ফ্রান্স। সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট করে নিয়ে আইসল্যান্ড দুইয়ে, ইউক্রেইন তিনে আছে। চার নম্বরে আজারবাইজানের ১ পয়েন্ট।
ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইপর্বে গ্রুপের শীর্ষ দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে, রানার্সআপকে পেরিয়ে আসতে হবে প্লে-অফের বাধা। ইউক্রেইনের বিপক্ষে ৭০ শতাংশ পজেশন রেখে গোলের জন্য ২৫টি শট নিয়ে ১০টি লক্ষ্যে রাখতে পারে ফ্রান্স। ইউক্রেইন শট নিতে পারে মাত্র একটি, সেটাও লক্ষ্যভ্রষ্ট।
সপ্তদশ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় ফ্রান্স। বক্সের বাইরে থেকে এমবাপের নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ইউক্রেইন গোলরক্ষক ত্রুবিন। ৪১তম মিনিটে আরেকটি দারুণ সেভে ত্রুবিন রক্ষা করেন ইউক্রেইনকে। ব্রাডলি বারকোলার বাঁকানো শট গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে ইউক্রেইনের ইয়েহোর নাজারিনা ফ্রান্সের বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করে সফরকারীরা। ভিএআর মনিটরে দেখে তাদের দাবি নাকোচ করে দেন রেফারি।
তিন মিনিট পরই উল্টো পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। ফাউলের শিকার হন মাইকেল ওলিসে। পানেনকা শটে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপে।
৭৬তম মিনিটে সতীর্থের পাস পেয়ে বক্সে বাঁ পায়ের শটে ব্যবধান বাড়ান ওলিসে। ৮৩তম মিনিটে কাছ থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান এমবাপে। ফ্রান্সের হয়ে ৯৪ ম্যাচে এমবাপের গোল হলো ৫৫টি, সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ছুঁতে তার চাই আর দুটি। ৫৭ গোল নিয়ে চূড়ায় আছেন অলিভিয়ে জিরু। নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে স্কোরশিটে নাম তোলেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা একিটিকে। এমবাপের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে নিচু শটে জালে পাঠান লিভারপুল ফরোয়ার্ড।
এসএস/টিএ