বলিউডের লড়াইপূর্ণ পর্দায় প্রায়ই আলোচিত নামগুলো যেমন আলিয়া ভাট, দীপিকা পাড়ুকোন, জাহ্নভী কাপুর- তাদের সাফল্য সংবাদপত্রের পাতায় ছাপা হয়। কিন্তু সে কোলাহলে নীরবে নিজের পথ তৈরি করছেন ইয়ামি গৌতম। কোনো প্রিমিয়াম ফিল্ম কেম্প বা ঝলমলে মার্কেটিং ছাড়াই ইয়ামি দেখাচ্ছেন যে সত্যিকারের সাফল্য আসে সাহস এবং অভিনয় দক্ষতার সমন্বয়ে।
তার সিনেমার তালিকা শুধু চরিত্রের মিল নয়; এটি সাহসী, প্রাসঙ্গিক এবং গভীর গল্প বলার এক মাষ্টারক্লাস। ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এ তিনি যে তীক্ষ্ণ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছিলেন, ‘এ থার্সডে’-তে যে অনির্দেশ্য স্কুলশিক্ষককে ফুটিয়ে তুলেছেন, এবং ‘ওএমজি ২’-এ যৌন শিক্ষা প্রসারে যে আবেগপূর্ণ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন, তা প্রমাণ করে ইয়ামি প্রতিটি চরিত্রে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে ঢেলে দেন।
তার সাম্প্রতিক ছবি ‘হক’-এও তিনি আদালতের সংবেদনশীল পরিস্থিতি এত দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন যে, চরিত্রের অনুভূতি দর্শকের মনে সরাসরি স্পর্শ করছে। যেখানে অনেক জনপ্রিয় অভিনেতা ফর্মুলার চরিত্রের উপর নির্ভর করেন, সেখানে ইয়ামি প্রতিটি অভিনয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেন।
অভ্যন্তরীণ সমর্থন বা ভারী-দাপটের প্রচারণার অভাবে তিনি ক্রিটিক্যাল এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘আর্টিকেল ৩৭০’। তার অভিনয়ের শক্তি- জমকালো কাহিনী নয়, বরং বিষয়বস্তুর গভীরে থাকা- যা আজকের তারকা কেন্দ্রিক বিনোদন জগতে বিরল।
ম্যাগাজিনের কভার পৃষ্ঠায় শুধুই বড় নামের প্রশংসা না করে, এখন সময় এসেছে এমন অভিনেতাদের উদযাপন করার, যারা সাহসী পছন্দ এবং মানসম্মত অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের এক আলাদা পরিচয় গড়ে তুলছেন।
কেএন/এসএন