সরকারের তিন উপদেষ্টাকে অপসারণ করতে হবে: ডা. তাহের

অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি তুলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি- এই সরকার আসার পর থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ব্যাপারে মনোযোগী নয়। বরং সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার সহযোগিতায় একটি বিশেষ দলের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে দলীয় প্রশাসনে রূপান্তরের চেষ্টা চলছে। 

আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারের আট দলের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের এই নায়েবে আমীর কথাগুলো বলেন।

মোহাম্মদ তাহের আরও বলেন, আপনারা জানেন- ইতোমধ্যে কিছু কিছু পরিবর্তন হচ্ছে এবং সেখানে একটি বিশেষ দলের প্রতি অনুগত লোকদেরকেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়ার চেষ্টা চলছে। প্রশাসনের যারা ভালো লোক; সৎ লোক ছিল তাদেরকে কোনো দলের ট্যাগ লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। 

জামায়াতে ইসলামীর এই নায়েবে আমীর বলেছেন, যদি এভাবেই নির্বাচনের আগ পর্যন্ত পরিস্থিতি এক দিকে চলতে থাকে তাহলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। যদি আর একটি নির্বাচন সুষ্ঠু এবং সকলের অংশগ্রহণমূলক না হয় তাহলে দেশের জন্য আরও বেশি বিপর্যয় ভবিষ্যতে অপেক্ষা করবে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই- প্রধান উপদেষ্টা যে ভাষণ দিয়েছেন; একই দিনে গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন। আমরা আশা করি- সেটা পরিবর্তন করে আলাদাভাবে গণভোট করার তারিখ উনি ঘোষণা করবেন। 

সরকারের তিন উপদেষ্টাকে অপসারণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কমপক্ষে তিনজন উপদেষ্টা আছেন- যারা উনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) মিস-গাইড করতেছেন; আমরা তাদের অপসারণ দাবি করছি। আপনারা আমাদের প্রশ্ন করবেন যে- তাদের নাম বলেন। আমরা আজকেও নাম বলতে চাই না। তবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের নাম প্রেরণ করবো।

তিনি আরও বলেন, যদি তার পরও কোনো পরিবর্তন না আসে তাহলে আমরা প্রকাশ্যে এই নাম জানিয়ে দেবো কিনা সে ব্যাপারেও বিবেচনা করবো। মূলত জাতির সামনে তাদের প্রশ্নবিদ্ধ না করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের নাম পেশ করবো।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আগে গণভোট পরে জাতীয় নির্বাচন, না হয় নির্বাচন হবে না: এ টি এম মাসুম Nov 14, 2025
img
ভোলার ভেদুরিয়া সার কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনে ৩ উপদেষ্টা Nov 14, 2025
img
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির মেয়াদ বাড়ছে আরও ৫ বছর Nov 14, 2025
img
ম্যাচটা অবশ্যই জেতা উচিত ছিল: হামজা চৌধুরী Nov 14, 2025
img
গাজীপুরে বিএনপিতে যোগ দিলেন ৮ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঁচ শতাধিক সদস্য Nov 14, 2025
img
পুলিশ হেফাজতে ২ চীনা নাগরিক Nov 14, 2025
img
ক্রিকেটপাড়ায় তোলপাড় : স্মৃতি মান্ধানার ‘বিয়ের কার্ড’ ভাইরাল Nov 14, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের মাধ্যমে সংকট কেটে গেছে : নুরুল হক নুর Nov 14, 2025
img
যুবসমাজ মাতাতে গ্লোবট্রটর মঞ্চে আশিষ Nov 14, 2025
img
ফের জল্পনায় বলিউড ও আইপিএলের অনিরুদ্ধ-কাব্য জুটি! Nov 14, 2025
img
রাজধানীজুড়ে বাড়তি সতর্কতা, মাঠে ১২ প্লাটুন বিজিবি Nov 14, 2025
img
লকডাউন-অগ্নিসংযোগে নির্বাচন বিরোধী মহলেরও সম্পৃক্ততা থাকতে পারে : হাবিব Nov 14, 2025
দিল্লি যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান Nov 14, 2025
img
কেন পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করাতে পারছেন না ট্রাম্প? Nov 14, 2025
img
চট্টগ্রামে জোড়া খুন তুচ্ছ ঘটনায় এনায়েত বাজারে প্রাণ গেলো ব্যবসায়ির Nov 14, 2025
img
পুসকাস পুরস্কারের দৌড়ে উঠলেন ইয়ামাল, ফের মনোনীত মার্তা Nov 14, 2025
ঘাতক লিমন আটক, ৫ বছরের সম্পর্কের দাবি Nov 14, 2025
রাজশাহীতে বিএনপির নারী কর্মীকে মারধরের অভিযোগ জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে Nov 14, 2025
img
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বিচারকের ছেলের মৃত্যু, জানালেন চিকিৎসক Nov 14, 2025
img
রংপুরের নতুন ডিসি এনামুল আহসান Nov 14, 2025