নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হলে দুটোই প্রশ্নবিদ্ধ হবে : গোলাম পরওয়ার

‘একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজন জনগণকে বিভ্রান্ত করার স্পষ্ট প্রচেষ্টা। এতে ভোটের গুরুত্ব ও গণভোটের উদ্দেশ্য— দুটোই প্রশ্নবিদ্ধ হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনার দৌলতপুর থানার শহীদ মিনার চত্বরে থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জুলাই সনদ বা জুলাই চার্টারকে আইনি বৈধতা দিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটই একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ।

জুলাই সনদকে আইনগত ভিত্তি দিতে হলে জাতীয় নির্বাচনের অনেক আগে গণভোটের আয়োজন জরুরি। তা না হলে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।

তিনি আরো বলেন, ‘যারা জুলাই সনদ মানতে চায় না, ২৬-এর নির্বাচন তাদের জন্য নয়। জনগণকে ধোঁকার মধ্যে রাখা যাবে না। নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।’

জামায়াতের এই নেতা দাবি করেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে ‘গোপন বৈঠক’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।

নিজেদের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগামী ১৬ নভেম্বর দেশে ৮টি ইসলামী দলের শীর্ষ নেতারা বসবেন। সেখানেই ভবিষ্যৎ আন্দোলন ও কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সিদ্ধান্ত যাই আসুক, সবাইকে সেই আন্দোলনে শরিক হতে হবে।’

দৌলতপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির মু. মুশাররফ আনসারীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘ভোট ও জনগণের ভালোবাসা পেলে একটি সন্ত্রাসমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত এবং ন্যায়ভিত্তিক ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র গঠনই হবে আমাদের লক্ষ্য।’

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, মহানগর নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল প্রমুখ।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিয়ে ও মাতৃত্বের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন শেহনাজ গিল Nov 14, 2025
img
ঈদগাহ মাঠের ঘটনার মূল আসামি জরেজুল ইসলাম গ্রেপ্তার Nov 14, 2025
img
১০ লাখ টাকা পুরস্কার পাচ্ছে বাংলাদেশের পদকজয়ী আর্চাররা Nov 14, 2025
img

ডয়চে ভেলে

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারত কেন শক্তি বৃদ্ধি করছে? Nov 14, 2025
img
সংবিধান অনুযায়ী এখন নির্বাচনের কোনো ভিত্তি নেই : গোলাম পরওয়ার Nov 14, 2025
img
মনোনয়ন ইস্যুতে এবার ধানক্ষেতে নবদম্পতির রিভিউ আবেদন Nov 14, 2025
img
এনসিপির আখতারের কী ফাঁস করার হুমকি দিচ্ছেন মাহমুদ? Nov 14, 2025
img
মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ মাদরাসা ছাত্রের Nov 14, 2025
img
চোট নিয়ে জাতীয় দল থেকে ছিটকে গেছেন এমবাপে Nov 14, 2025
img
শাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৭ ডিসেম্বর Nov 14, 2025
img
সৈন্যসংখ্যা বাড়াতে নতুন সামরিক নীতি জার্মান সরকারের Nov 14, 2025
img
১০১১টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে এনসিপি Nov 14, 2025
img
প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কুষ্টিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ ও মশাল মিছিল Nov 14, 2025
img
একটি দল সংস্কার চায় না, তারা পুরোনো কায়দায় দেশ চালাতে চায় : ডা. তাহের Nov 14, 2025
img
পিরোজপুর সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর, বহিষ্কার ছাত্রদল নেতা Nov 14, 2025
img
ভোলায় প্রচুর গ্যাস রয়েছে, যা কৃষিখাতে কাজে লাগাতে চাই : শিল্প উপদেষ্টা Nov 14, 2025
img

কাদের সিদ্দিকী

যৌবনে প্রেম করিনি, মিছিল করতে করতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে Nov 14, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি ভিসা বাতিলের বিল পার্লামেন্টে Nov 14, 2025
img
নির্বাচনের পথরেখা ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সফল করতে হবে : জোনায়েদ সাকি Nov 14, 2025
img
দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভারতের হয়ে ইতিহাস গড়লেন সূর্যবংশী Nov 14, 2025