সকালে যে মসলা খেলে ওজন ও রক্তে শর্করা থাকবে নিয়ন্ত্রণে, আর কমবে কোষ্ঠকাঠিন্য

বর্তমান সময়ে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও আধুনিক জীবনযাপনের ফলে অনেকেরই ওজন বাড়া ও রক্তে সুগার বাড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেই সঙ্গে কারো কারো কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দিচ্ছে। অনেক চেষ্টা করেও এগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। তাই কিভাবে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করবেন, তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক

গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মেথি খুব উপকারী। ডায়াবেটিকরা ৬০ দিন ধরে প্রতিদিন ১০ গ্রাম মেথি ভিজিয়ে খেলে, দারুণ উপকার পাবেন। এতে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সকালবেলা ভিজিয়ে রাখা মেথি চিবিয়ে খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীরের ফোলাভাব কমে।
চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও এটি অনেক উপকারী। ভিজিয়ে রাখা মেথি খাওয়ার কী কী উপকারিতা রয়েছে এবং এটি আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর কিভাবে প্রভাব ফেলে, জেনে নেওয়া দরকার।

প্রথমত, এটা বোঝা দরকার যে মেথি ভিজিয়ে রাখলে শক্ত খোসা নরম হয়ে যায়। এর মধ্যে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার, অ্যামিনো এসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহজে নির্গত হয়।
এর ফলে মেথির পুষ্টি দ্রুত শোষিত হয় এবং দানা চিবানোও সহজ হয়।

১-২ চামচ মেথি রাতে একটি ছোট বাটিতে পানির সঙ্গে ভিজিয়ে রাখুন। স্বাদ যদি তেতো লাগে, তবে হালকা গরম পানি বা সামান্য মধু মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। খেয়াল রাখবেন, দুই চামচের বেশি খাবেন না, নয়তো বেশি ফাইবার পেটে সমস্যা তৈরি করতে পারে। সকালে খালি পেটে দানাগুলো ভালো করে চিবিয়ে খান এবং অবশিষ্ট পানিও খান।

অধিকাংশ মানুষ পেটের সমস্যার জন্য মেথি খান। মেথির দ্রবণীয় ফাইবার পানিতে গুলে জেলের মতো রূপ নেয়, যা হজম পদ্ধতিকে সহজ করে তোলে। নিয়মিত মেথি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যে কমে। পেটের জ্বালা কমে। ব্লোটিং কমে এবং এসিডিটি থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়।

বিশেষ করে যাদের খাবার হজম করতে সমস্যা হয় বা পেট খারাপ থাকে, তাদের জন্য এই অভ্যাসটি বেশ উপকারী। এই কারণে ভেজানো মেথি সকালে পেট ঠিক করে। মেথির সবথেকে বড় উপকারিতা হলো ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। ভিজিয়ে রাখা মেথি থেকে নির্গত গ্যালাক্টোম্যানান ফাইবার কার্বোহাইড্রেটকে ধীরে ধীরে হজম করে, যার ফলে হঠাৎ করে সুগার বাড়ে না। আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করে থাকেন, তাহলে ভিজিয়ে রাখা মেথি আপনাকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আগামী নির্বাচনই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কাজ করবে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Nov 16, 2025
img
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই : প্রেস সচিব Nov 16, 2025
img
শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতির ১ মামলার শুনানি আজ Nov 16, 2025
img
সংবিধান সংশোধন নিয়ে পাকিস্তানে অস্থিরতা, পদত্যাগ আরেক বিচারপতির Nov 16, 2025
img
কাতারে কঙ্গো সরকারের সঙ্গে কঙ্গো রিভার অ্যালায়েন্স একটি নতুন শান্তিচুক্তি সই Nov 16, 2025
img
তারেক রহমানের ৩১ দফাই রাষ্ট্র গঠনে সর্বজনীন দিকনির্দেশনা: মনিরুল হক চৌধুরী Nov 16, 2025
img
জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন : ফরিদা আখতার Nov 16, 2025
img
লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি, প্রাণ হারালেন ৪ বাংলাদেশি Nov 16, 2025
img
বিচারকদের কলমবিরতি পালন কর্মসূচি প্রত্যাহার Nov 16, 2025
img
চাঁদাবাজির সময় ইউপি সদস্যসহ আটক ১০ Nov 16, 2025
img
বেহেশতের কথা বলে ভোট চাওয়া দল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে: আমান উল্লাহ Nov 16, 2025
img
আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় সাবেক ভিসিসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে আজ ১৪তম দিনের সাক্ষ্য Nov 16, 2025
img
গাড়ি থেকে লোহার রড ছুটে এসেছিল বিবেকের দিকে Nov 16, 2025
img
রাজধানীতে সকালের তাপমাত্রা ১৯.৪ ডিগ্রি, আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা Nov 16, 2025
img
ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার Nov 16, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনকে অর্থবহ করতে আগে গণভোট প্রয়োজন: ড. হেলাল উদ্দিন Nov 16, 2025
img
ভারতে উচ্ছেদ অভিযানে ১৫ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠালো বিএসএফ Nov 16, 2025
img
আজও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, দূষণে শীর্ষে দিল্লি Nov 16, 2025
img
জর্জিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে স্পেন Nov 16, 2025
img
স্বর্ণ কিনবেন? জেনে নিন আজ দেশে কত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ Nov 16, 2025