ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে শেখ হাসিনার করা বিদ্যুৎচুক্তি দেশের স্বার্থে হয়নি, জনগণের স্বার্থেও হয়নি পটুয়াখালীতে এক অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (১৬ নভেম্বর) পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নে এক অসহায় বৃদ্ধ দম্পতির ঘরে গিয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন তিনি। গণমাধ্যমে তাদের মানবেতর জীবনযাপনের খবর প্রকাশের পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় রিজভী সেখানে পৌঁছান।
সহায়তা প্রদান শেষে তিনি বলেন, আমরা এখনো ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থা রাখি। কিন্তু সেই আস্থাকে দুর্বল করার দায়িত্ব কোনোভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারের নয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে যে চুক্তি করেছিলেন- সেটা একটি প্রাইভেট কোম্পানির স্বার্থে।
বাংলাদেশের স্বার্থ নষ্ট করে কেন ওই কোম্পানির বিদ্যুতের ৩৪ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে কিনতে হবে? ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বার্থেই তিনি এমন চুক্তি করেছেন।
রিজভী আরও বলেন, বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে উন্নয়নমূলক চুক্তি হতে পারে। কিন্তু তা কখনোই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে হতে পারে না। শেখ হাসিনা যে সব চুক্তি করেছেন, সেগুলো দেশের স্বার্থবিরোধী। এখন আবার শোনা যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি অপারেটরদের হাতে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে শর্তগুলো কী, মানুষ কিছুই জানে না।
তিনি দাবি করেন, এসব সিদ্ধান্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। ড. ইউনূসের সরকারকে অবশ্যই এগুলো বিবেচনায় নিতে হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েই শেখ হাসিনা দেশকে আজকের অবস্থায় দাঁড় করিয়েছেন। মানুষ মনে করেছে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছেন তিনি রাজনৈতিক নষ্টাচারের পথ তৈরি করেছেন।
সহায়তা প্রদানকালে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এবি/টিকে