ব্রাজিলে এখনও পর্তুগিজ ভাষাটা আয়ত্তে আনতে পারেননি কার্লো আনচেলত্তি। তবে পাঁচবারের বিশ্বজয়ীদের সাফল্য দেয়ার চাবিকাঠি ঠিকই ধরে ফেলেছেন এ কোচ। জেনে গেছেন, বিশ্বকাপে সাফল্য আনতে দলের কোন ভাগের ভূমিকা কতটুক প্রয়োজন। সে অনুযায়ী কাজও করছেন ইতালিয়ান কোচ।
আনচেলত্তির মতে, দলের সাফল্যের চাবিকাঠি রক্ষণভাগ। সাফল্যের জন্য রক্ষণের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯৮ এবং ২০০২ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের পিছে রক্ষণের একটি বড় অবদান ছিল। আনচেলত্তি বলেছেন, ‘ব্রাজিলের শেষ বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে রক্ষণের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।’
‘ব্রাজিলের সে দলে ছিল অসাধারণ কিছু খেলোয়াড়। যারা সামনের দিকে খেলা উপভোগ করতেন, আবার জানতেন কীভাবে রক্ষণ উন্মুক্ত হওয়া থেকে আটকাবেন। আমার মনে আছে ১৯৯৪ সালের কথা, দলে ছিলেন দুজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, বেবেতো এবং রোমারিও, যারা পেছনে খুব শক্তপোক্ত আবার সামনেও পার্থক্য গড়ে দিতে পারতেন।’
৬৬ বর্ষী কোচ চান আক্রমণাত্মক রক্ষণ, ‘বিশ্বকাপে সাফল্যের জন্য আমি এটাই ভাবছি। একটি শক্তিশালী রক্ষণ মানসম্পন্ন খেলোয়াড়দের পার্থক্য গড়ে দিতে সাহায্য করে। অন্যান্য রাইট-ব্যাকদের থেকে মিলিতাওয়ের প্রোফাইল আলাদা। আক্রমণাত্মক রক্ষণ এমন একটি বিকল্প, যা আমাদের বিশ্বকাপ দলকে আরও দৃঢ়তা এনে দেবে।’
গতমাসে জাপানের কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে আনচেলত্তির শিষ্যরা। যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরও ৩-২ গোলে হার। অবশ্য শনিবার রাতে সেনেগালকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেলেসাওরা।
আনচেলত্তি বলেছেন, ‘আমরা জাপানের বিপক্ষে তিনটি গোল হজম করেছি। আমরা আমাদের ভুলগুলো দেখছি এবং আমরা ভালো খেলার জন্য সেক্ষেত্রে উন্নতি করার চেষ্টা করছি।’
প্রায় ছয়মাস ধরে ব্রাজিলের দায়িত্বে আছেন এ ইতালিয়ান কোচ। রিয়াল মাদ্রিদের দিনগুলো থেকে একেবারেই আলাদা রুটিনের সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন। ২০২৬ বিশ্বকাপের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিদিনের প্রশিক্ষণ সেশনে কাজের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছেন বলেছেন।
টিজে/এসএন