জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী তার ও তার ১৯ বছর বয়সী ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে আবারও ‘ভিত্তিহীন, প্রমাণহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করেছেন।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) মামলার খবর প্রকাশের পর সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিস্তারিত অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে তিনি এসব অভিযোগের স্পষ্ট জবাব দেন।
মেহজাবীন জানান, ২০২৫ সালের মার্চে তার বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে গত নয় মাসে তিনি কোনো ধরনের নোটিশ, কল বা আনুষ্ঠানিক তথ্য পাননি। কারণ অভিযোগকারী পুলিশকে তার সঠিক ফোন নম্বর, ঠিকানা বা কোনো যাচাইকৃত তথ্যই দিতে পারেননি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযোগকারী ২০১৬ সাল থেকে মেহজাবীনের সঙ্গে ব্যবসা করতেন। কিন্তু তিনি একটি মেসেজ, স্ক্রিনশট, ফোনকল, হোয়াটসঅ্যাপ বা কোনো প্রকার যোগাযোগের প্রমাণই হাজির করতে পারেননি বলে বিবৃতিতে জানান মেহজাবীন৷
শুধু তাই নয়, অভিযোগকারীর সম্পূর্ণ পরিচয়পত্র, এমনকি এনআইডি পর্যন্ত মামলার নথিতে জমা নেই, দাবি করেন মেহজাবীন। মেহজাবীন বিবৃতিতে বলেন, মামলার খবর প্রকাশের পর থেকেই অভিযোগকারী এবং তার আইনজীবী দুজনেই ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।
২৭ লাখ টাকার লেনদেন নিয়ে মেহজাবীন জানান, মামলায় ২৭ লাখ টাকা দেয়ার দাবি করা হলেও অভিযোগকারী দেখাতে পারেননি- কোনো ব্যাংক লেনদেন, চেক, বিকাশ রেকর্ড, চুক্তিপত্র, রশিদ, বা সাক্ষী—কোনো দলিলই নেই।
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ১১ ফেব্রুয়ারি হাতিরঝিলে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু গত নয় মাসে অভিযোগকারী দেখাতে পারেননি- রেস্টুরেন্ট বা আশপাশের এলাকার এক সেকেন্ডেরও সিসিটিভি ফুটেজ, কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, বা কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ।
এ নিয়ে মেহজাবীন মন্তব্য করেন, “ঢাকার সবচেয়ে সিসিটিভি-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর একটি হাতিরঝিল সেখানে ঘটনার ন্যূনতম একটি ছবিও নেই।”
গত ৯ মাসে এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ বা কোনো নোটিশ পাননি জানিয় তিনি বলেন, “গত নয় মাসে কোনো পুলিশ কল, কোনো কোর্ট নোটিশ-কিছুই পাইনি। একটি নোটিশ পেলেও আমি অনেক আগেই আইনি ব্যবস্থা নিতাম।”
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার কথা জানতে পেরে দ্রুত আইনি প্রক্রিয়ায় জামিন নেন মেহজাবীন। তার ভাষায়, “আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই মামলার কোনো ভিত্তি না থাকলেও, যখন জানতে পারলাম যে একটি অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে, তখন আমি আইনি প্রক্রিয়া মেনে জামিন নিয়েছি কারণ আমি আমাদের আইন ও নিয়ম মানি।”
প্রমাণহীন মামলা কখনো সত্য হয়ে যায় না। সত্য আদালতে খুব দ্রুত পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করেন ছোট ও বড়পর্দার এই অভিনেত্রী।
এ বিষয়ে মেহজাবীন বলেন, “এখনকার দিনে কাউকে অপমান করা, মানহানি করা বা ভাইরাল হওয়ার জন্য অন্যকে ব্যবহার করা খুবই সহজ হয়ে গেছে। এই ব্যক্তির যেই উদ্দেশ্যই থাকুক, আমার বা আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করে সে যা-ই করতে চায় -আমি বিশ্বাস করি সবকিছু খুব দ্রুতই পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
সবশেষ মেহজাবীন সকলকে আহ্বান জানিয়ে বলেন,“দয়া করে সহানুভূতিশীল হোন, দয়া করে মানবিক হোন, এবং কাউকে না জেনে কোনো মিডিয়া ট্রায়াল শুরু করবেন না।”
এবি/টিকে