জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, এই বিচারের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ কারও নেই। কারণ বিচার স্বচ্ছ হয়েছে, নিরপেক্ষ হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে।’
সোমবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আংশিক হলেও ট্রাইব্যুনালের রায়ের মধ্য দিয়ে জাতির আশাটা কিছুটা পূর্ণ হয়েছে মনে করেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘আজকে রায়ের দীর্ঘ সময় ধরে যে বিচারকেরা রায় পড়েছেন, সেখানে ফুটে উঠেছে যে অপরাধীরা কী পরিমাণ নিষ্ঠুর, ঘৃণ্য, প্রতিহিংসামূলক অপরাধ করেছে। পত্রপত্রিকা, অডিও-ভিডিও, তাঁদের টেলিফোনিক কনভারসেশনের যে সমস্ত তথ্য হুবহু ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়েছে, রায়ের মধ্যে কিন্তু কোট-আনকোট সেগুলো পড়ে শোনানো হয়েছে। আমরা বিস্মিত হয়েছি, জাতি বিস্মিত হয়েছে।’
জামায়াত নেতা আরও বলেন, ‘এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের যে বিচার হয়েছে ট্রাইব্যুনালে, সেই বিচার নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা দুনিয়াতে এটা প্রশ্নবিদ্ধ। আন্তর্জাতিক মানের হয়নি। সে বিচারের বাদী সাজানো, এজাহার সাজানো, মামলা সাজানো, সাক্ষী সাজানো, বিচারক সাজানো, রায় সাজানো, আদালত চত্বর থেকে সাক্ষীকে গুম করা, বিদেশ থেকে রায় লিখে দিয়ে ডিকটেট করা, স্কাইপে কেলেঙ্কারি। সেই বিচার ব্রিটিশ আদালতে এরকমই একটা বিচারের জাজমেন্ট দিতে গিয়ে সেখানে বলা হয়েছে, “জেনোসাইড অব জাস্টিস”।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আজকে আমরা এতটুকু মন্তব্য করব, যাদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে, আয়নাঘরে খুনখারাবি করে, ক্রসফায়ারে, বিভিন্নভাবে শেষ করা হয়েছে, পিলখানা, শাপলা চত্বর, আরও বিচারপ্রক্রিয়া তো সামনে আছে। এটা প্রথম রায় আমরা পেলাম। সে জন্য আমরা মনে করি, সবগুলোরই নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ বিচার হওয়া উচিত।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এ টি এম মাছুম প্রমুখ।
আইকে/টিএ