হাসিনাকে নিয়ে আব্বার ভবিষ্যদ্বাণীর প্রতি মানুষের বিশ্বাস ছিল : হুম্মাম কাদের

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে তাঁর ছেলে হুমাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, ‘ওই কোর্ট রুমে বসে আমার বাবা বলেছিল। কিন্তু এই জিনিসটা বাংলাদেশের প্রত্যেক ব্যক্তির মনের মধ্যে ছিল।’


তিনি বলেন, ‘আমার আব্বার জন্য এটা ভবিষ্যাতবাণী ছিল। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের একটা বিশ্বাস ছিল।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া আসনে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য এ প্রার্থী দেশের একটি গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।

ভাইরাল ভিডিওতে আদালতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি চাই এই ট্রাইব্যুনাল দীর্ঘদিন থাকুক। সেই সঙ্গে আমি বিচারককে বলতে চাই, আপনি লিখে রাখেন, এই ট্রাইব্যুনালে একদিন হাসিনার ফাঁসি হবে।’

হুমাম কাদের চৌধুরী বলেন, ‘আমার বাবা এটা বলেছিল ওই কোর্ট রুমে বসে।

কিন্তু এই জিনিসটা বাংলাদেশের প্রত্যেক ব্যক্তির মনের মধ্যে চলছিল। গত ১৭ বছর ধরে আমরা জানতাম যে একদিন না একদিন শেখ হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতে হবে। আজকে এই দিনটা আমরা দেখতে পেয়েছি। এটার জন্য তো পুরো বাংলাদেশ মনে হয় বেশকিছু দিন ধরে প্রিপারেশন ছিল।

এখানে তো কোনো লুকোচুরির কিছু ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার অপকর্ম এবং তিনি যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন সেটা সবার চোখের সামনে হয়েছে। আমি মনে করি, আমার আব্বার জন্য এটা ভবিষ্যৎ বাণী ছিল। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের একটা বিশ্বাস ছিল। এই ধরনের ক্রিমিনাল এক্টিভিটিজির জন্য একদিন না একদিন শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশের মাঠিতে হবে।

এর আগে আজ সোমবার দুপুরে তিনটি অপরাধের পৃথক অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি আরো দুটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং মামলার রাজসাক্ষী সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডে ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি Nov 18, 2025
img
"এতটা ভাল হও যাতে প্রয়োজনে কাউকে ক্ষমা করা যায়'' Nov 18, 2025
img
যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডে জাতীয় যুবশক্তির নিন্দা Nov 18, 2025
img
জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার : আনু মুহাম্মদ Nov 18, 2025
img
নিকারাগুয়ার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের Nov 18, 2025
img
ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন কিউই ব্যাটসম্যান মিচেল Nov 18, 2025
img
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে ফয়েজ তৈয়্যবের বার্তা Nov 18, 2025
img
কোটালীপাড়া থানায় ককটেল হামলায় আহত ৩ পুলিশ সদস্য Nov 18, 2025
img
এক মাসের মধ্যে শেখ হাসিনাকে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে: এনসিপি Nov 18, 2025
img
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীকে বদলি Nov 18, 2025
img
বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির সঙ্গে ইসির সংলাপ আগামীকাল Nov 18, 2025
img
মুশফিকের কৌশলে মুগ্ধ প্রতিপক্ষ কোচ Nov 18, 2025
img
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ আজ Nov 18, 2025
img
জেনে নিন দেশের বাজারে আজ কত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ Nov 18, 2025
img
টেকনাফে মানবপাচার চক্রের ৪ সদস্য আটক Nov 18, 2025
img
কোনো দণ্ডিত ব্যক্তির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ এনসিএসএর Nov 18, 2025
img
শেখ হাসিনার রায়ের দিন কেন বন্দরের চুক্তি স্বাক্ষর, প্রশ্ন আব্দুন নূর তুষারের Nov 18, 2025
img
ইউক্রেনকে ১০০ রাফায়েল যুদ্ধবিমান দিচ্ছে ফ্রান্স Nov 18, 2025
img
প্রবাসী ভোটারদের জন্য মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন আজ Nov 18, 2025
img
ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু গ্রেপ্তার Nov 18, 2025