পিএসজির কাছে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি এমবাপ্পের

প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি) ও কিলিয়ান এমবাপ্পের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব এবার নতুন মাত্রা পেল। দু’পক্ষই এখন একে অপরের কাছে দাবি করছে আকাশছোঁয়া অঙ্কের ক্ষতিপূরণ—যা ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আইনি ঝামেলাগুলোর একটি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এমবাপ্পে অভিযোগ করছেন, তার চুক্তি পুনঃশ্রেণিবদ্ধ হওয়া উচিত ছিল স্থায়ী চুক্তি হিসেবে। সেই যুক্তিতে তিনি এখন দাবি করছেন ২৬০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩০১ মিলিয়ন ডলার)—বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ হাজার ৭২০ কোটি টাকা (১ ডলার = ১২৪ টাকা)।

এর আওতায় থাকছে অবৈতনিক বেতন, বোনাস, সেভারেন্স, অন্যায়ভাবে বরখাস্তের ক্ষতিপূরণ এবং মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ।
এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ইউরো বকেয়া বেতন, যা তুলনায় অনেক কম।



এবার পিএসজির কাছে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি এমবাপ্পের এমবাপ্পের জোড়া গোলে বিশ্বকাপের টিকিট পেল ফ্রান্স
ফরাসি জায়ান্ট ক্লাবটি আবার এমবাপ্পের বিরুদ্ধে দাবি করছে আরও বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ ৪৪০ মিলিয়ন ইউরো (৫১০ মিলিয়ন ডলার), যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ হাজার ২৪০ কোটি।
এর মধ্যে রয়েছে

পিএসজির ভাষ্য, এমবাপ্পে প্রায় ১১ মাস ধরে তার চুক্তি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গোপন রেখেছিলেন, ফলে ক্লাব ট্রান্সফারের সুযোগ পায়নি। তারা আরও দাবি করে, ২০২৩ সালের শেষ দিকে করা বেতন কমানোর চুক্তিও পরে এমবাপ্পে অস্বীকার করেছেন।

এদিকে এমবাপ্পের আইনজীবীরা বলেছেন—“আইন যা অনুমতি দেয়, এমবাপ্পে শুধু সেটাই চাইছেন। একজন কর্মীর মতো তার অধিকার প্রয়োগ করতে চান।”
তারা পিএসজির কথিত 'লফটিং' অর্থাৎ মূল দলে থেকে বিচ্ছিন্ন রাখাকে নৈতিক হয়রানি হিসেবে তুলে ধরেছেন।

২০২৩–২৪ মৌসুমের শুরুর আগে চুক্তি বাড়াতে না চাওয়ার কারণে এমবাপ্পেকে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি থেকে বাদ দেওয়া হয়। পরে আলোচনা হলে তিনি দলে ফেরেন। তবু সম্পর্ক আর আগের মতো হয়নি।
২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ফ্রি ট্রান্সফারে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন। সাত বছরে ক্লাবটির হয়ে ২৫৬ গোল করার পরও তার বিদায় ছিল অশান্ত।
এই হাইপ্রোফাইল মামলা এখন ফরাসি আদালতে। চূড়ান্ত রায় আসতে পারে আগামী মাসে।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
'সোলজার'-এর ফার্স্ট লুকে ভিন্ন এক তিশা Nov 18, 2025
img
৭ দিনের মধ্যে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণের নির্দেশ ডিএনসিসির Nov 18, 2025
img
হামজার ওভারহেড কিকে গোলকে অবিশ্বাস্য বললেন টেক্টর Nov 18, 2025
img
ঠকানোর চেয়ে ঠকে যাওয়াই ভালো: জিতু Nov 18, 2025
img
মুশফিকের ১০০তম টেস্টে তামিমের বিশেষ শুভেচ্ছা ! Nov 18, 2025
img
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, আশা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Nov 18, 2025
img
কঠোর পরিশ্রমেই সাফল্যের চাবিকাঠি: শ্রেয়া ঘোষাল Nov 18, 2025
img
সিঙ্গাপুর থেকে ৪৯০ কোটি টাকায় দেশে আসছে এক কার্গো এলএনজি Nov 18, 2025
img
অল্প সময়ে ঢালিউডে শক্ত অবস্থান গড়লেন শরিফুল রাজ Nov 18, 2025
img
মাঝে মাঝে ভাবি মুশফিক খুবই একঘেয়ে জীবন যাপন করেন: মুমিনুল হক Nov 18, 2025
img
পরীমনির সঙ্গে তুলনা করায় ডাকসু নেত্রীর ক্ষোভ প্রকাশ Nov 18, 2025
img
নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না: আলিয়া ভাট Nov 18, 2025
img
লুটেরা-ডাকাত দলের দ্বারা জনগণের উপকার হবে না: রিজভী Nov 18, 2025
img
এনবিআরের সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা Nov 18, 2025
img
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করবেন না: সুন্দর পিচাই Nov 18, 2025
img
পাকিস্তান সফরের মাঝপথেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন ২ লঙ্কান ক্রিকেটার Nov 18, 2025
img
বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমার পূর্বাভাস Nov 18, 2025
img
ভাগ্যশ্রীর তেলুগু ক্যারিয়ারে নতুন অধ্যায় Nov 18, 2025
img
নির্বাচন বানচাল ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই যুবদল নেতাকে হত্যা : নয়ন Nov 18, 2025
img
ভারতীয় নাগরিকদের জন্য দুঃসংবাদ! Nov 18, 2025