ক্রীড়াঙ্গনে কত বিচিত্র ঘটনাই ঘটে! সমর্থকেরাও তাতে যোগ করেন ভিন্ন মাত্রা। তেমনই এক ব্যতিক্রমী ভক্ত কুমিল্লার মোহাম্মদ আলি। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দেখতে আজ (মঙ্গলবার) তিনি জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজির হন বরের বেশে। শুধু তাই নয়, বাড়িতে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন-ভারতকে না হারালে বিয়ে করব না!
২০০৩ সালে এই স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে মতিউর মুন্নার গোল্ডেন গোলে বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়েছিল। ২২ বছর পর আবারও সেই স্মৃতি যেন ফিরে এল। এবার বাংলাদেশ জিতল শেখ মোরসালিনের গোলে। ম্যাচের ১২ মিনিটেই লিড নেয় বাংলাদেশ। এরপরের ৮০ মিনিটের বেশি সময় ধরে সেই লিড ধরে রেখে আনন্দে ভাসে হামজা-সামিতরা।
বাংলাদেশের এই জয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে দেশের আনাচে-কানাচে। তবে জাতীয় স্টেডিয়ামের উন্মাদনা ছিল আলাদা। সরাসরি খেলা দেখার উত্তেজনা তো থাকেই। দর্শকেরা নানা ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিয়েছেন, ভুভুজেলা বাজিয়েছেন, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তৈরি করেছেন উৎসবের পরিবেশ। এই উচ্ছ্বাসের মাঝেই আলি যখন বরের সাজে বের হলেন, তখন তাকে ঘিরে তৈরি হয় আরও একটি ভিড়।
সামনে এগোতেই পরিষ্কার হয় বিষয়টি। ক্যামেরা ধরতেই আলি জানান কেন এই সাজ, কী তার উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, বন্ধুদের পরিকল্পনায় সহমত জানিয়ে আমি বলেছিলাম- যদি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ জিতে, তাহলে বিয়ে করব, না হলে করব না। এখন যেহেতু জিতেছে, বিয়ে তো করতেই হবে। পাত্রীও রেডি আছে।
পরে আলি জানান, বিয়ে আগেই ঠিক ছিল, পাত্রীর বাড়ি নোয়াখালী। জয়ের আনন্দের সঙ্গে তিনি প্রশংসা করলেন হামজা-মিতুল মারমার খেলাকেও। তার কথায়, হামজা একাই পাঁচজনের মতো খেলেছে। একপর্যায়ে গোলকিপারের ভূমিকায়ও ছিল। আর মিতুল মারমাও আজ অসাধারণ ছিল, তাকে ধন্যবাদ।
আলির এক বন্ধু বলেন, নোয়াখালীর মেয়ে খুব চালাক। বিয়ের আগে ওকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল-বাংলাদেশ ভারতকে হারাতে পারলে যেন সে বিয়েতে আসে (যায়)। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম, কারণ হামজা-জামাল-মোরসালিন-সামিতদের ওপর আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস ছিল।
টিজে/এসএন