মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার দিন ধানমণ্ডিতে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক বাকবিতণ্ডা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়ার।
বাকবিতণ্ডার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে অনেকেই তাকে দোষারোপ করছেন। এবার তার পাশে দাঁড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত শিক্ষিকা ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামি।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি রাফিয়ার পক্ষে অবস্থান নেন।
মোনামি লেখেন, সত্যি কথা বলতে কী, তাকে এতটা টার্গেট করা হচ্ছে মূলত এই কারণে যে, সে দৃশ্যমানভাবে নিজের বিশ্বাস, নিজের ধর্মীয় পরিচয়কে ধারণ করে চলেন বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছাড়াই। ঠিক একই রকম এসার্টিভনেস, রেজিস্ট্যান্স, প্রতিবাদ কিংবা ভাষা যদি কোনো নন-হিজাবি মেয়ের কাছ থেকে দেখা যেত, তবে আমাদের তথাকথিত ‘সুশীল’ মহল আজ তার দারুণ সাহসী অবস্থান বলে বাহবা দিত, স্ট্যাটাস দিত, ক্ষমতায়নের উদাহরণ বানিয়ে ফেলত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত এই শিক্ষিকা লেখেন, উল্টো দিক থেকে, উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পুলিশের আচরণ ছিল সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য, অসম্মানজনক এবং নির্যাতনমূলক।
কিন্তু, রাফিয়ার সেই অপমানজনক পরিস্থিতিতে সাহসী ও দৃঢ় জবাব দেওয়া—সেটি নারীর ক্ষমতায়ন হিসেবে দেখা হচ্ছে না, আর পুলিশের আচরণও অত্যাচার বা অপব্যবহার হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে না, শুধুমাত্র কারণ তার ফেমিনিস্ট এক্সপ্রেশন বাংলাদেশে স্বীকৃত সেই সংকীর্ণ ও চয়েস ভিত্তিক ফেমিনিসম এর সঙ্গে মিলে না।
এমকে/এসএন