সংস্কারের একক দাবি সংকীর্ণ মানসিকতা, ৩১ দফায় তা চূড়ান্ত হয়েছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন মানে কেবল সরকার গঠন বা ক্ষমতা পরিবর্তন নয়, এর অর্থ হলো গণতন্ত্রের পথে ফিরে যাওয়া।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বিএনপি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি একই সঙ্গে অভিযোগ করেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার রায়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে একটি মহল 'মব ভায়োলেন্স'-এর (গণ-সহিংসতা) মাধ্যমে সচেতনভাবে চেষ্টা করছে।

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চারদিকে হতাশা দেখতে পাই। রায় যখন হচ্ছে, রায়ের গুরুত্ব কমিয়ে দিতে ভিন্ন দিকে দৃষ্টি নিতে কোনো মহল সচেতনতার সঙ্গে চেষ্টা করছে কি না, সেটি ভেবে দেখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার রায়কে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে একটি মহল সচেতনভাবে চেষ্টা করছে।’

সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব জানান, তার দল সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কেউ ভিন্নভাবে উপস্থাপন করলে তা মেনে নেয়া হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংস্কারের কথা আজ যখন জোরেশোরে বলা হয়, ২০২২ সালেই আমরা আলোচনা শুরু করেছিলাম। ১০ আর ২৭-এর পরে সবশেষে ৩১ দফায় চূড়ান্ত হয়েছে। আজ যদি কেউ দাবি করেন এককভাবে সংস্কার উদ্যোগের কথা, সেটি সংকীর্ণতা ছাড়া কিছুই নয়।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি কোনো বিপ্লবী দল নয়, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। আমরা সংস্কারের জন্য কমিটেড। আমাদেরকে ভিন্নভাবে চিত্রিত করতে কেউ যদি চায়, সেটা আমরা মেনে নেব না।’

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব আরোপ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা অন্যের মত সহ্য করতে পারি না। ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে না চাইলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন মানে সবকিছু নয়। এর অর্থ গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া।’ দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপির দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ওপর দায়িত্ব বর্তায় সবসময়ই। নির্বাচন এসেছে, এখন বিএনপির ওপর দায়িত্ব এসেছে গণতান্ত্রিক মোর্চা গড়ে তোলার।’

কেএন/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শুভকামনা ‘বান্টু দা’ বলে মুশফিককে শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন মাশরাফি Nov 19, 2025
img
একদিকে রায় অন্যদিকে মবক্রেসি, কিসের আলামত জানি না: মির্জা ফখরুল Nov 19, 2025
img
গণতন্ত্র ছাড়া দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই, সতর্ক করলেন মির্জা ফখরুল Nov 19, 2025
img
অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ হওয়া নিয়ে ফয়েজ তৈয়্যবের বার্তা Nov 19, 2025
img
এবার ভারত সফরে আফগান বাণিজ্যমন্ত্রী Nov 19, 2025
img
আসুন সবাই মিলে মিশে কাজ করি: জয়নুল আবদিন Nov 19, 2025
img

জুলাই গণহত্যা

জাতিসংঘ প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক রূপে স্বীকৃতি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ Nov 19, 2025
img
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Nov 19, 2025
img
‘ধুরন্ধর’ এর ট্রেলারে রণবীর সিংয়ের অগ্নিমূর্তি চমকে দিল দর্শকদের Nov 19, 2025
img
তামান্নাকে ভুলে ফাতিমাকে মন দিয়েছেন বিজয়! Nov 19, 2025
img
অভিনেত্রীর ছদ্মবেশে হয়রানি, ক্ষুব্ধ ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী শ্রিয়া Nov 19, 2025
img
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ Nov 19, 2025
img
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ হারালে আরো ৫৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা Nov 19, 2025
img
ট্রাম্পকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো Nov 19, 2025
img
চানখারপুলে ছয় হত্যায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ, জেরা ২৩ নভেম্বর Nov 19, 2025
img
তারেক রহমানকে নিয়ে তথ্যচিত্র মুক্তি পাবে আগামীকাল Nov 19, 2025
img
শেখ মুজিব দেশকে পাকিস্তানের বদলে ভারত বানিয়েছিল: রাশেদ প্রধান Nov 19, 2025
img
নাসিরুদ্দিনের বক্তব্যে খারাপ লেগেছিল ফারহানের Nov 19, 2025
img
আদানি গ্রুপের সিঙ্গাপুরে সালিশি কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা Nov 19, 2025
img
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান মঈন খানের Nov 19, 2025