এক অভিনেত্রী, যিনি শুধু পর্দার সৌন্দর্য নন, আত্মবিশ্বাসই তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। তিনি বলিউড অভিনেত্রী, মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন। বর্তমানে তিনি নিজেই হয়ে উঠেছেন একটি চরিত্র, যার প্রতিটি মুহূর্ত এক একটি অনুপ্রেরণার গল্প।
মায়ের পরামর্শে ১৯৯৪ সালে ১৮ বছরের কিশোরী সুস্মিতা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনেক বাধা পেরোনোর পরও চোখে হাজারো স্বপ্ন নিয়ে প্রথম বাঙালি হিসেবে ‘মিস ইউনিভার্স’ মুকুট জেতেন তিনি। সে জয়ে শুধু সুস্মিতা জিতেননি, তিনি লিখেছিলেন নারীর ক্ষমতায়নের নতুন এক সংজ্ঞা।
বলিউডে তিনি পা রাখেন প্রচলিত নায়িকার ধারা ভেঙে দিয়ে। ‘দাস্তাক’-এর সংবেদনশীল চরিত্র হোক, ‘বিবি নাম্বার ওয়ান’-এ ঝলমলে কারিশমা, কিংবা ‘ম্যায় হুঁ না’তে সেই চিরস্মরণীয় মিস চাঁদনী- সুস্মিতার উপস্থিতি সবসময়ই ছিল এক অন্যরকম আভিজাত্য।
ওটিটির যুগে ‘আরিয়া’ যেন তাকে আবার নতুন করে আবিষ্কার করালো। গম্ভীর, পরিণত, তীক্ষ্ণ এক নারী যিনি পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে হয়ে ওঠেন সাহসী যোদ্ধা।‘তালি’-র মাধ্যমে তিনি নিজেকে আবারও প্রমাণ করেন। গল্প এবং চরিত্রের চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি যেন সবসময় প্রস্তুত।
ক্যারিয়ারে সফল এ নারী ব্যক্তিগত জীবনে প্রাধান্য দিয়েছেন নারী স্বাধীনতাকে। মাত্র ২৪ বছর বয়সে নিজের সিদ্ধান্তে দত্তক নিয়েছিলেন রেনে-কে, পরে আলিশাকে। ব্যক্তিগত জীবনে সমালোচনা, স্বাস্থ্যঝুঁকি, সম্পর্কের ওঠাপড়া, কোনো কিছুই তাকে থামাতে পারেনি। অভিনেত্রীর ভাষায়, মোহাব্বতের কোনো ঘাটতি নেই, আর স্বাধীনতাই আমার সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।
১৯৭৫ সালে ভারতের হায়দ্রাবাদে জন্ম নেয়া ১৯ নভেম্বর আজকের এ দিনে ৫০ বছরে দাঁড়িয়ে সুস্মিতা। অথচ আজও তিনি শেখান,একজন নারী চাইলে নিজের জীবন নিজেই লিখে নিতে পারে। নারীর এ বাধা পেরোনোর শক্তি সাহসের, সৌন্দর্যের, আত্মসম্মানের। তার আলোয় অনুপ্রাণিত হোক লক্ষ কোটি নারীর হৃদয় এমনটাই প্রত্যাশা সুস্মিতা অনুরাগীদের।
কেএন/টিএ