আয়কর আইনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলসংক্রান্ত একটি বিশেষ আদেশ জারি হয়েছে। এ আদেশ অনুযায়ী, ২০২৫–২৬ অর্থবছর থেকে সব ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাকে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব করদাতাকে রিটার্ন জমা দিতে হবে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এবার সবাইকে অনলাইনে রিটার্ন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তাই এবার আর কর কার্যালয়ে গিয়ে রিটার্ন দেওয়ার সুযোগ নেই।
বর্তমানে দেশের প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। করযোগ্য আয় থাকলে টিআইএনধারীদের রিটার্ন দিতে হয়।
এবার দেখা যাক, কীভাবে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেবেন। করদাতাদের আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য যে দলিল বা কাগজের ভিত্তিতে তৈরি হবে, তা নিজ হেফাজতে রাখতে হবে। কর কর্মকর্তারা নিরীক্ষার সময় চাইলে এসব দলিল প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হতে পারে।
রিটার্ন দাখিলের সময় প্রয়োজন হতে পারে, বেতন খাতের আয়ের দলিল, সিকিউরিটিজের সুদ আয়ের সনদ, ভাড়ার চুক্তিপত্র, পৌর করের রসিদ, বন্ধকি ঋণের সুদের সনদ, মূলধনি সম্পদ ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তিপত্র ও রসিদ, লভ্যাংশের ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট, উৎসে কর কাটার সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
কর রেয়াত পেতে বিনিয়োগের প্রমাণপত্রও লাগবে। যেমন জীবন বিমার প্রিমিয়াম রসিদ, ভবিষ্য তহবিলে চাঁদার সনদ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস), কল্যাণ তহবিল বা জাকাত তহবিলে চাঁদা প্রদানের সনদ ইত্যাদি।
সব করদাতা ২০২৫–২৬ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন এনবিআরের ওয়েবসাইটে— https://www.etaxnbr.gov.bd। অনলাইনে রিটার্ন দিতে হলে আগে নিবন্ধন করতে হবে। এর জন্য টিআইএন নম্বর ও বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। রিটার্ন জমা দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্তি রসিদ মিলবে।
করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদসহ অন্যান্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ঘরে বসেই কর পরিশোধ করতে পারবেন।
অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সময় কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য এনবিআরের কল সেন্টার ও অনলাইন সহায়তা কার্যক্রম সার্বক্ষণিকভাবে চালু থাকবে।
আইকে/এসএন