এখন থেকে দিনের ভোট আর রাতে হবে না : অ্যাটর্নি জেনারেল

সংবিধানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসায় এখন আর দিনের ভোট রাতে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) আপিল বিভাগের রায়ের পর নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা দেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবে ফুল জাজমেন্টে আসবে। আজ থেকে বাংলাদেশের মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে। দিনের ভোট রাতে হবে না, মৃত মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাবে না।

তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয়েছিল। হাইকোর্ট এটাকে অসাংবিধানিক বলেছেন এবং এই সংশোধনী অসৎ উদ্দেশ্য আনা হয়েছিল।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফরমেশন হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না। এটা রিস্টোরড হয়েছে, অর্থাৎ পূর্বাবস্থায় ফিরে গেল।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো কোরান বা বাইবেল নয়। এই রায়ের মাধ্যমে এমন কিছু আসবে না, যা কোরান বা বাইবেলিক হয়ে যাবে। ২০ বছর পর যদি মানুষ মনে করে এই ব্যবস্থা পঁচে গলে গেছে, গণতন্ত্র রক্ষায় এর থেকে ভালো কোনো ব্যবস্থা রয়েছে, তখন পার্লামেন্ট সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

আপিল বিভাগ তার পূর্বের রায়কে কলঙ্কিত বলে মন্তব্য করেছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কলঙ্কিত বলেই সে রায়টা বাতিল করা হয়েছে। অনেকগুলো কারণ আমরা দেখিয়েছি। তার একটা কারণ হিসেবে আমরা বলেছিলাম, এই রায় লেখার ক্ষেত্রে খায়রুল হক ও তার সহযোগীরা দণ্ডবিধি ২১৯ ধারায় অপরাধ করেছেন। মুখ দিয়ে রায় বলে ফেললে সেটা রায়, ওটা পরিবর্তনের আইনি পদ্ধতি রয়েছে।

হয় নিজেরা রিভিউ নাম্বার ফেলে পরিবর্তন করতে পারতেন। অথবা অন্য কেউ রিভিউ করে তা পরিবর্তন করতে পারতেন। অথচ মুখের রায়কেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, ফিফটিনথ অ্যামেডমেন্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের যে সংশোধনী, যে অংশটুকু বাতিল হয়েছে, আপিল বিভাগে তো সেটাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি।

রাজনৈতিক অবস্থার ওপর রায় নির্ভর করে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি তা মনে করি না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত করে যে নির্বাচন হয়েছিল…এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হওয়ার পর দেশ গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে, কোনটা সবচাইতে বেশি গ্রহণযোগ্য, সেটা আপনারাই বিবেচনা করবেন। গণতান্ত্রিক নয়, এটা হলো এক আইনি রায়।

আইকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মানসিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল বিশ্ববিখ্যাত গায়িকা লেডি গাগাকে Nov 20, 2025
img
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ‘ফোর স্টার’ গ্রুপের ২ সদস্য রিমান্ডে Nov 20, 2025
img
বক্স অফিসের রাণী এবার রাশমিকা, আয় ১৩শ কোটি Nov 20, 2025
img
নেপালে ফের ‘জেন-জি’ বিক্ষোভ, কারফিউ জারি Nov 20, 2025
img
কবি সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ Nov 20, 2025
img
নিজের পোশাকের স্টাইলে বদল আনার কারণ জানালেন করণ জোহর Nov 20, 2025
img
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেল আরও ৪ জনের, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪৫ Nov 20, 2025
img
ছাত্রীকে বিয়ে করে উধাও শিক্ষক, থানায় দ্বারস্থ প্রথম স্ত্রী Nov 20, 2025
img
জুটি বাঁধলেন খাইরুল বাসার ও সাদনিমা Nov 20, 2025
img
ব্যর্থতাকে ভয় না করে চেষ্টা চালিয়ে যাও: অনিল কাপুর Nov 20, 2025
img
নিউইয়র্কের পার্কে একসঙ্গে জায়েদ খান ও মাহিয়া মাহি Nov 20, 2025
img
কারিশমা কাপুরের সঙ্গে সঞ্জয়ের বিচ্ছেদ নিয়ে সঞ্জয়ের বোনের মন্তব্য Nov 20, 2025
img
আমরা চাই বাচ্চারা খেলাধুলায় ফিরে আসুক : আসিফ আকবর Nov 20, 2025
img
টিজারের পর আইনি জটিলতায় রাজামৌলির ‘ভারাণসী’ Nov 20, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায়ে আইন উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া Nov 20, 2025
img

৪৭তম বিসিএস

পরীক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি পিএসসির বিবেচনায় নেওয়া জরুরি : এনসিপি Nov 20, 2025
img
ফের ধানুশের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হচ্ছেন সাই পল্লবী Nov 20, 2025
img
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা Nov 20, 2025
img
সাকিব আল হাসানকে দুদকে তলব Nov 20, 2025
img
অর্ধশতাব্দীর যাত্রা, ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে নতুন দিগন্ত রজনীকান্তের Nov 20, 2025