জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে শঙ্কা ও ভীতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো, নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের মনের ভিতরে এখনো শঙ্কা ও ভীতি আছে। সেই ভীতি ও শঙ্কা দূর করতে হবে।
এ শঙ্কা-ভীতি দূর করতে হলে সরকার, তার প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে আরও নিরপেক্ষ-বলিষ্ঠ ভূমিকায়, সততার সঙ্গে উন্মুক্তভাবে আলোচনার মাধ্যমে জনগণের মাঝে আস্থা জাগাতে হবে।
জনগণ যদি আস্থা না পায় তাহলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না।’
গতকাল খুলনায় নাগরিক প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে প্রাক-নির্বাচনি আঞ্চলিক পরামর্শ সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খুলনার বিভিন্ন সংসদীয় আসনের প্রার্থী ও ভোটার।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘জনগণের আস্থার জায়গাটা পূরণ করতে হবে।
দেশ নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠছে। কিন্তু কী নির্বাচন আমরা পাব, এটা নিয়ে আমাদের শঙ্কা রয়ে গেছে।’
চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্দর ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে।
বন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য হয়তো বিদেশি বিনিয়াগও দরকার পড়বে। কিন্তু আমরা এটুকু শিখেছি, সঠিক সংস্কার যদি বেঠিক পদ্ধতিতে হয় তাহলে সেই সংস্কার ফল দেয় না। বন্দর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এই দ্রুততা, যে অস্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে করা হলো এতে আমরা একটা ভালো কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলাম।’ এত দ্রুততার সঙ্গে দেশের কয়েকটি বন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কেন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়া হলো-এ নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিনিয়োগ দরকার। বৈদেশিক সহযোগিতা দরকার।
আগামী দিনে এ ধরনের সংস্কারগুলো স্বচ্ছভাবে যোগ্যতার সঙ্গে, গণমানুষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে করলে টেকসই হবে।’
খুলনার অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে শিল্পায়নের জন্য অঞ্চলভিত্তিক একটি কর্মপরিকল্পনা খুবই জরুরি। পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার পরে খুলনায় যে সম্ভাবনার কথা ভেবেছিলাম, সেটা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। জমির দাম বাড়ল, মজুরি তো বাড়ল না। সেদিকে নজর দিতে হবে। একই রকমভাবে শিল্পনগরী হিসেবে কৃষিভিত্তিক শিল্পের সম্ভাবনাও এখানে আছে।’
এমকে/এসএন