হঠাৎ করেই কেঁপে উঠেছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা। আজ (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে অনুভূত ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শুরু হয় আলোচনার ঝড়। এ সময় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নির্মাতা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন- ‘এমন ভূমিকম্প আগে কখনো হয়নি! শেষ দিন হতে পারত। সবকিছু কত ভঙ্গুর একটি অনুস্মারক!’
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ভেতরে এত শক্তিশালী ভূমিকম্প এর আগে দেখা যায়নি। দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় কম্পন এটি। মাটির ওপর কম্পনের তীব্রতা ছিল অত্যন্ত বেশি।
তিনি বলেন, ‘একজন কাজের লোক আমাকে বললো-গাছপালা যেভাবে দোলে, বিল্ডিং এভাবে দুলছে। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল প্রায় ১০ কিলোমিটার।’
আবহাওয়া অফিস জানায়, রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে। মাঝারি মাত্রার হলেও অল্প গভীরতার কারণে কম্পন ছিল তীব্র। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
হঠাৎ ঘটে যাওয়া এই ভূমিকম্পে জনমনে আতঙ্ক এখনো কাটেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফারুকীর মতোই অনেকেই নিজেদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন, যা মনে করিয়ে দিচ্ছে-প্রাকৃতিক দুর্যোগের সামনে মানুষ কতটা অসহায় ও ভঙ্গুর।
এসএন