জোজোর কথায় যেন ফিরে আসে এক শিল্পীর দীর্ঘ সংগ্রামের পথচলা। ব্যক্তিগত জীবনের গভীরতম শোককে পাশে সরিয়ে, শুধু দর্শকদের মুখ দেখে আবার মঞ্চে দাঁড়ানোর শক্তি খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। যে বয়সে মায়ের মুখাগ্নির মতো সবচেয়ে বেদনাদায়ক দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে, ঠিক সেই সময়েই মঞ্চ তাকে শিখিয়েছে নতুন করে বাঁচার পথ।
মাইক্রোফোন হাতে তুলে নিলেই যেন সব দুঃখ পিছনে পড়ে যায়, আলো ও মানুষের ভালোবাসায় তৈরি হয় এক অন্য পৃথিবী- যেখানে দাঁড়াতে পারাই তার শিল্পীসত্তার সত্যিকারের জয়।
সেদিনের ব্যথাকে আলিঙ্গন করেই আজকের জোজো আরও দৃঢ়। মঞ্চে উঠলেই দর্শকের চোখের দিকে তাকিয়ে তিনি বুঝে যান, শিল্পীর জীবনে থেমে থাকা মানে হেরে যাওয়া। তাই প্রতিটি পারফরম্যান্স তার কাছে শুধু কাজ নয়, জীবনের প্রতি এক নতুন অঙ্গীকার। ব্যক্তিগত শোক, ভাঙচুর, ঝড়- সব পেরিয়ে তিনি প্রমাণ করে গেছেন, শিল্পীর শক্তি তার ভেতরেই থাকে, শুধু তাকে খুঁজে পাওয়ার সাহস লাগে।
কেএন/টিকে