অসমের সঙ্গীতজগতের আলো ছায়ার গল্প যেন অনায়াসে উঠে আসে পাপনের কথায়। জন্ম থেকেই তিনি ছিলেন দুই প্রখ্যাত শিল্পীর ঘরে- বাবা ও মা দুজনেই অসমের বড় সঙ্গীতশিল্পী।
সেই পরিচয়ের গর্ব যেমন আছে, ঠিক তেমনই আছে অদৃশ্য চাপের বোঝা। পাপন বলেন, মানুষ তাকে প্রথমে দেখেছে শিল্পী বাবা-মায়ের ছেলে হিসেবে, তারপর একজন গায়ক হিসেবে। এই পরিচয় তার কাছে সম্মানের, কিন্তু একই সঙ্গে ছিল এক দীর্ঘ সংগ্রামের শুরু।
শিশু বয়সেই বুঝে যান, শুধু রক্তের সূত্রে পাওয়া পরিচয় দিয়ে পথ চলা যায় না। নিজের কণ্ঠ, নিজের ধারা, নিজের ভাবনা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে আলাদা জায়গা। বাবার ছায়া যত বড়, তার বাইরে দাঁড়াতে তত বেশি পরিশ্রম, তত বেশি লড়াই। পাপন সেই লড়াইই করেছেন বছরের পর বছর। নিজের সুর, নিজের মনের গান দিয়ে তিনি গড়ে নিয়েছেন নিজের অনুসারী, নিজের শ্রোতা, নিজের দুনিয়া। অথচ চাপটা আজও পিছু ছাড়ে না- কিন্তু আজ সেই চাপই তাকে আরও শৃঙ্খলিত, আরও নিবেদিত করে তুলেছে।
পরিচয়ের ভার, যাত্রার সংগ্রাম আর নিজস্বতার লড়াই- সব মিলিয়ে পাপনের পথচলা আজ অনেক তরুণ শিল্পীর জন্য প্রেরণা। তিনি দেখিয়েছেন, জন্মসূত্রের আলো যদি পথ আলোকিত করে, তবে নিজের গানই শেষ পর্যন্ত শিল্পীকে তার জায়গা বুঝিয়ে দেয়।
কেএন/টিকে