সুযোগ পেয়ে বার্সেলোনার তীব্র সমালোচনা করেন রিয়ালের প্রেসিডেন্ট

লা লিগার রেফারিংয়ের সমালোচনা এবং বার্সেলোনাকে খোঁচা দেয়ার সুযোগ কখনোই হাতছাড়া করেন না ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। রোববার (২৩ নভেম্বর) প্রতিনিধি সদস্যদের অ্যাসেম্বলিতে দেয়া ভাষণে বার্সেলোনা ও লা লিগার রেফারিদের মান নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট। পেরেজ 'নেগ্রেইরা কাণ্ড'র প্রসঙ্গ আরও একবার তুলেছেন এবং স্পেনে রেফারিংয়ের মানকে 'অগ্রহণযোগ্য' বলে আখ্যা দেন।

রেফারিংয়ের মান নিয়ে রিয়ালের প্রেসিডেন্ট বলেন, 'স্প্যানিশ রেফারিংয়ের মান অগ্রহণযোগ্য। ফিফা যে ৩৫ জন স্প্যানিশ অন-ফিল্ড রেফারির একজনকেও নির্বাচন করেনি, এটা লজ্জাজনক।'



এ সময় নেগ্রেইরা কাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পেরেজ বলেন, 'আর অবশ্যই এটা অগ্রহণযোগ্য যে বার্সেলোনা, যেকোনো কারণেই হোক, রেফারিদের কমিটির সহ-সভাপতিকে কমপক্ষে ১৭ বছর ধরে ৮ মিলিয়ন ইউরোর বেশি পরিশোধ করেছে। তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এবং এই সময়টিই কাকতালীয়ভাবে আমাদের দেশে বার্সেলোনার সেরা সাফল্যের সময়।'

স্প্যানিশ টেকনিক্যাল কমিটি অব রেফারিজের (সিটিএ) সাবেক সহ-সভাপতি হোসে মারিয়া এনরিকেস নেগ্রেইরার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন কোম্পানিকে ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এফসি বার্সেলোনা প্রায় ৭ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করেছে বলে অভিযোগ আছে। স্পেনে যা এখনও তদন্তাধীন আছে।

রিয়াল মাদ্রিদ প্রধান বার্সেলোনা–ভিয়ারিয়ালের লা লিগা ম্যাচটি মায়ামিতে নেওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টারও সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, 'লা লিগা সভাপতি আমাদের ওপর মিয়ামিতে একটি ম্যাচ চাপিয়ে দিতে চান, এটা স্বাভাবিক নয়। এমনকি বার্সার অধিনায়ক ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং-ও এটিকে স্বাভাবিক মনে করেন না।'

পেরেজ আরও বলেন, 'এবং এটাও স্বাভাবিক নয় যে লা লিগা বার্সেলোনা ও ভিয়ারিয়াল, এই দুই দলকে মিয়ামিতে খেলার জন্য অতিরিক্ত আর্থিক প্রণোদনা সমর্থন করছে। এরপর আমাদের টেবাসের বক্তৃতা শুনতে হয়, যেখানে তিনি এই ম্যাচটিকে এনএফএল-এর ব্যর্থ মায়ামি উদ্যোগের সঙ্গে তুলনা করেন।

'এনএফএল ম্যাচটি ছিল বৈধ এবং প্রতিযোগিতার নিয়ম মেনে এবং সবার পূর্ণ সমর্থন নিয়ে। এটা এক নয়; এখানে তো উয়েফার সমর্থনও ছিল না। এটা কেবল এক ব্যর্থ জুয়া ছাড়া কিছুই নয়।'–পেরেজ যোগ করেন। 

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জাপান অস্পর্শযোগ্য ‘লাল দাগ’ ছুঁয়ে ফেলছে : চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী Nov 23, 2025
img
এবার একদিনে এশিয়ার ৩ দেশে বড় ভূমিকম্প Nov 23, 2025
img
জামায়াতের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করার খায়েশ মিটিয়ে দেবে জনগণ : এমরান সালেহ প্রিন্স Nov 23, 2025
img
বাংলাদেশে বাস করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা কাম্য নয় : কাদের সিদ্দিকী Nov 23, 2025
img
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপি নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ Nov 23, 2025
img
পাকিস্তানের সিন্ধ অঞ্চল একদিন ভারতের অংশ হবে : রাজনাথ সিং Nov 23, 2025
img
হাসিনা আত্মসমর্পণ করলে আ. লীগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে পারে : মঞ্জু Nov 23, 2025
img
বন্দর চুক্তি নিয়ে গোপনীয়তা উদ্বেগজনক : বাংলাদেশ ন্যাপ Nov 23, 2025
img
সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক Nov 23, 2025
img
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চবি ছাত্রদলের ৩ নেতাকে শোকজ Nov 23, 2025
img
দেশে যেকোনো সময় ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা Nov 23, 2025
img
হাসপাতালে ভর্তি বেগম খালেদা জিয়া Nov 23, 2025
img
সৌদি আরবে গ্রেপ্তার ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী Nov 23, 2025
img
নারীর অন্তর্জ্ঞান নিয়ে হৃদয়ছোঁয়া বার্তা দিলেন রাশ্মিকা Nov 23, 2025
img
প্রকৃত ইতিহাস জানার অধিকার থেকে নতুন প্রজন্মকে বঞ্চিত করলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে না: সোহেল তাজ Nov 23, 2025
img
মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে হবে : এ্যানি Nov 23, 2025
img
বক্স অফিসে সাড়া জাগিয়ে প্রথম দিনেই আয় ৬১৪ কোটি টাকা Nov 23, 2025
img
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক Nov 23, 2025
img
বাংলাদেশে বর্তমানে কানাডার বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ১৩২ মিলিয়ন ডলারে Nov 23, 2025
img
ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ Nov 23, 2025