মিয়ানমারের নাগরিকদের আইনি সুরক্ষা বাতিল, ছাড়তে হবে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য দেয়া সাময়িক আইনি স্বীকৃতি (টেম্পোরারি প্রটেক্টেড স্ট্যাটাস বা টিপিএস) বসবাসের সুবিধা শেষ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ নভেম্বর) ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তি দেখিয়েছে, এ নাগরিকেরা যুদ্ধকবলিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এখন নিরাপদে ফিরতে পারবেন। (মিয়ানমারের) সামরিক শাসক গোষ্ঠীর পরিকল্পিত নির্বাচন আয়োজনের ঘটনার উল্লেখ করে এটিকে পরিস্থিতির উন্নতি হিসেবে দেখিয়েছে প্রশাসন। খবর রয়টার্সের।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মিয়ানমারের যেসব নাগরিক হয়তো নিজ দেশ বা উৎস দেশে ফিরতে বাধ্য হবেন, এমনই সিদ্ধান্তে তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ও বেসামরিক সরকার উৎখাত হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতায় রয়েছে দেশটি। অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারজুড়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটিবিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে মিয়ানমারের জন্য টিপিএস অব্যাহত রাখার আর প্রয়োজন নেই। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে টিপিএসের সুবিধাভোগী মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছেন প্রায় চার হাজার। তাদের জন্য এ সুবিধা আগামী ২৬ জানুয়ারি শেষ হবে বলে জানিয়েছে ডিএইচএস।

ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত টিপিএসকে তার মূল সাময়িক অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছে।’ তিনি মিয়ানমারের আরেকটি নাম ব্যবহার করে বলেন, ‘বার্মার পরিস্থিতি এতটাই উন্নত হয়েছে যে সেখানে নাগরিকেরা নিরাপদে ফিরতে পারেন। তাই আমরা সাময়িক স্বীকৃতির অবসান ঘটাচ্ছি।’

‘বার্মা তার সরকারব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এর মধ্যে আছে জরুরি অবস্থার অবসান ঘটা, স্বচ্ছ ও মুক্ত নির্বাচনের পরিকল্পনা, সফল যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং স্থানীয় প্রশাসনের উন্নতি; যা জনসেবা ও জাতীয় একীকরণ ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করছে’ বলেন নোয়েম।

ডিএইচএস এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করেছে, মিয়ানমারের সামরিক সরকার জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নিয়েছে। এতে চীনের মধ্যস্থতার ভূমিকা রয়েছে। ডিএইচএস পুরোনো শান্তি প্রচেষ্টার সঙ্গে এ আলোচনাকে তুলনা করে এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখিয়েছে।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব

প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে Dec 16, 2025
img
বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল Dec 16, 2025
৭২ এর সংবিধান দিয়ে যা করেছে আ.লীগ! Dec 16, 2025
রাজশাহীতে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিজয় দিবসে শপথ বাক্য পাঠ করলেন Dec 16, 2025
ভারত যেভাবে বাংলাদেশ সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করলো? Dec 16, 2025
জুলাই পরবর্তী লড়াই কতটুকু সফল হলো? Dec 16, 2025
img
মেসি-কাণ্ডে মুখ খুললেন শুভশ্রী Dec 16, 2025
আসন্ন নির্বাচন শুধুমাত্র ভোটের বিষয় নয়-দেশের সার্বভৌমত্ব জড়িত: তারেক রহমান Dec 16, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Dec 16, 2025
img
নির্বাচনি প্রচারণা নিয়ে নেতাকর্মীদের সুখবর দিলেন তারেক রহমান Dec 16, 2025
বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা জারি Dec 16, 2025
img
রিমান্ডে আনিস আলমগীরকে অসম্মান না করার আহ্বান Dec 16, 2025
img
বিজয় দিবস উপলক্ষে লাল-সবুজে সেজেছে ঢাকা Dec 16, 2025
img
'আমার কাছে সঙ্গীতই অক্সিজেন' Dec 16, 2025
img
জয়-পরাজয়ের ঊর্ধ্বে জনগণের অধিকার : ইশরাক হোসেন Dec 16, 2025
img
ভোলায় বিএনপি-জামায়াতের দুই দফা সংঘর্ষ, আহত ৩০ Dec 16, 2025
img
বরিশালে বিএনপির ২শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নেত্রীর মামলা Dec 16, 2025
img
শহীদদের স্মরণ করে ঐক্যের বাংলাদেশ গড়তে হবে: নাহিদ ইসলাম Dec 16, 2025
img
শহীদ মিনারের আলপনা সরাল প্রশাসন, ঢেকে দেওয়া হলো দেয়াল Dec 16, 2025
img
’৭১ ও ’২৪-এর অবদান অস্বীকার করলে আর বীর জন্ম নেবে না: জামায়াত আমির Dec 16, 2025