হাওরবাসীর উষ্ণ ভালোবাসায় সিক্ত সিগমা

কিশোরগঞ্জ-৪ (অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন) আসন থেকে সমাজকর্মী, গবেষক ও উদ্যোক্তা কাজী রেহা কবির সিগমা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) নিজ নির্বাচনী এলাকায় গেলে হাওরবাসীর উষ্ণ ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি।

অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ বাজিতপুর পাটুলি ঘাটে ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করেন। তার প্রথম দিনের কর্মসূচিতে হাওরের ভাতসালা ও জিরো পয়েন্ট এলাকায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তিনি অষ্টগ্রামের শাহ কুতুব মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে মাজার জিয়ারত করেন।

পথজুড়ে হাওরের সাধারণ মানুষ সড়কের দু’ধারে দাঁড়িয়ে দুই হাত নেড়ে তাকে অভিবাদন জানান। বহু মানুষ ফুলের মালা পরিয়ে তাকে বরণ করে নেন। অষ্টগ্রামের হুমায়ূনপুর ঘাটে গণসংযোগ শেষে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।

কাজী রেহা কবির সিগমা বলেন, হাওরের মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন তাতে আমি অভিভূত। ছোটবেলা থেকেই এখানকার মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা ছিল।

আমার বাবা ও চাচার দেখানো পথ অনুসরণ করে আমি এই এলাকার জন্য কাজ করতে চাই। আমি চাই এলাকার মানুষ সুন্দর, শান্তিপূর্ণ সমাজে বসবাস করুক। পারিবারিক মূল্যবোধ ছাড়া ভালো সমাজ গড়া সম্ভব নয়। অষ্টগ্রামের মেয়ে হিসেবে এখন সময় এসেছে অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের মানুষের জন্য কাজ করার। আমি বিশ্বাস করি- কথার ফুলঝুরি কমিয়ে কাজের পরিমাণ বাড়ালেই এলাকার উন্নতি সম্ভব।

এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তার সাথে ছিলেন। তিনি আরও বলেন, হাওরের মানুষের ভোট নিয়ে অতীতে যারা সংসদে গেছেন, তারা এখানকার ভাগ্যবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করেননি। নির্বাচিত হলে আমি অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করব। মানুষের উন্নয়ন এবং হাওরের সার্বিক কল্যাণই হবে আমার মূল লক্ষ্য।

অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন- এই তিনটি উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের মোট ১৫০টি ভোটকেন্দ্রে রয়েছে ৪,০৩,৭৬৪ জন ভোটার। প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর সাধারণ ভোটাররা তাকে ভালোবাসা ও পরিপূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছেন। হাওরবাসীর এই উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রমাণ করে, কাজী রেহা কবির সিগমা দ্রুতই স্থানীয় মানুষের আশা ও বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবেন।

টিকে/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
খুলনায় এনসিপি নেতার গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তন্বীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা Dec 23, 2025
img
দিল্লির আশ্বাসের প্রতিফলন চায় ঢাকা : মুখপাত্র Dec 23, 2025
img
বিয়ে করলেন আসিফ আকবরের ছোট ছেলে Dec 23, 2025
img
হাসনাতের পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা Dec 23, 2025
img
আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলা, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিতে পরিবারের আবেদন Dec 23, 2025
যে কারণে ছেলের হাতে প্রতিদিন মার খান মা Dec 23, 2025
img
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নয়, ভোটার নিয়োগ হয় : সালাহউদ্দিন আম্মার Dec 23, 2025
img
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের দিকে আসা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ Dec 23, 2025
img
বিপিএলে সিলেটের শিরোপা জয়ে আত্মবিশ্বাসী এবাদত Dec 23, 2025
img
চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন ১০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী Dec 23, 2025
img
মুদির দোকান থেকেও সাফল্য সম্ভব: প্রতীক সেন Dec 23, 2025
img
হাদির ঘটনায় ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির ফের ৫ দিনের রিমান্ডে Dec 23, 2025
img
অসুস্থ এমপি প্রার্থী, সাতক্ষীরা থেকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসা হয়েছে ঢাকায় Dec 23, 2025
img
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আনা হবে: অর্থ উপদেষ্টা Dec 23, 2025
img
নোয়াখালীতে ২ গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৫ Dec 23, 2025
img
ডিসেম্বরের ২২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ২৪২ কোটি ডলার Dec 23, 2025
তারেক রহমানকে দেখতে মঞ্চের পাশে রাত দিন কাটাচ্ছে যে পরিবার! Dec 23, 2025
img
দুই চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে জয় পেল না কেউ Dec 23, 2025
img
এই জন্মে গানই শেষ ঠিকানা, অভিনয় ছাড়ার বিষয়ে জোজোর মন্তব্য Dec 23, 2025
img
ফলাফল নিয়ে চিন্তা না করে ভালো ক্রিকেট খেলাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন অঙ্কন Dec 23, 2025