চাঁদাবাজি-দুর্নীতি ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করছে: ডা. শফিকুর রহমান

চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে চতুর্থ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করছে। এমনকি বিদেশি বিনোয়গকারীরাও এতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।

জামায়াত আমির বলেন, ‘অর্থনীতিতে ধনী-গরিব সবাই অবদান রেখে যাচ্ছে। অর্থনীতি অবশ্যই ন্যায্যতার ওপর প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।’

দেশের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে উদ্যোগ নিতে হবে বলে উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্যের পাশাপাশি দুর্বৃত্তপনা বাড়ছে, ক্ষেত্রবিশেষে এই এই দুর্বৃত্তপনায় সহায়তা করছে রাষ্ট্র। যার ফলে উদ্যোক্তারা বিপদের মুখে পড়ছেন।’

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের ‘সুবিধাবাদী’ বলা হলেও তারা বাধ্য হয়েই সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে অবস্থান বদলায়। এই দায় রাষ্ট্র ও রাজনীতিবিদদের।

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এখনো একটি কম্ফোর্ট জোন তৈরি হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার শপথ এখন নিতে হবে।’

অর্থনৈতিক সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, সার্টিফিকেট প্রদানের শিক্ষা নয়, কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেকটা ঘর হবে ইন্ডাস্ট্রির হাব।

মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন নিয়োগেও দুর্নীতি হচ্ছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘সবাই দুর্নীতি ঘৃণা করেন, কিন্তু নিজের ক্ষেত্রে লোভ সামলাতে পারে না। রাজনৈতিক স্বদিচ্ছায় হলো মূল ইচ্ছা। যৌক্তিক পরিবর্তনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।’

পেশাদার মানুষ তৈরির শিক্ষা, দুর্নীতি মুক্ত সমাজ এবং ন্যায়বিচারের সমাজ গড়াই জামায়াতের লক্ষ্য বলে জানান শফিকুর রহমান।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img

বললেন বিজেপি নেতা সুনীল শর্মা

বাংলাদেশ-পাকিস্তান নিয়ে চুপ থাকবেন না মোদি, তাকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র ভয় পায় Dec 23, 2025
img
‘লাজুক’ স্বামীর ৫২০ পরকীয়া নিয়ে বই লিখেছেন স্ত্রী! Dec 23, 2025
img
অ্যাভেঞ্জার্স: ডুমসডে ট্রেলারে ফিরে এলো এমসিইউ-এর পরিচিত তারকা Dec 23, 2025
img
সমাজ কি আমায় মেনে নেবে? প্রশ্ন ইমনের Dec 23, 2025
img
বক্সিং ডে টেস্টে নেই লায়ন ও কামিন্স Dec 23, 2025
img
দেশের জন্য সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে চাই : জাইমা রহমান Dec 23, 2025
img
গাজীপুর-১ আসনে মনোনয়ন নিলেন ২ ভাই Dec 23, 2025
img
গোল করতে গিয়ে পা ভাঙল লিভারপুল তারকা ইসাকের Dec 23, 2025
img
ভোট দিতে প্রবাসী নিবন্ধন ৫ লাখ ৯৪ হাজার Dec 23, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে অপবাদ থেকে মুক্তি চাই, আইনের শাসন দেখিয়ে দিন : সিইসি Dec 23, 2025
img
যানজট নিরসনে সিডিএ-র ৩ সড়ক প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য ব্যয় ৪৫৫০ কোটি Dec 23, 2025
img
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব Dec 23, 2025
img
বেলা ১১টায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন Dec 23, 2025
img
৪ দিন ট্রাফিক ডাইভারশন কর্ণফুলী টানেলে Dec 23, 2025
img
সালাহর গোলে মিসরের নাটকীয় প্রত্যাবর্তন Dec 23, 2025
img

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন ১২ হাজার নেতাকর্মী Dec 23, 2025
img
লেবানন ও গাজায় পাল্টাপাল্টি উত্তেজনার মাঝে ইসরাইলের ধারাবাহিক হামলা Dec 23, 2025
img
মার্কিন ক্রিকেটের অচলাবস্থা কাটাতে আইসিসির উদ্যোগ Dec 23, 2025
img
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা নীলফামারী, স্থবির জনজীবন Dec 23, 2025
img
ইরানের আক্রমণের বিরুদ্ধে কঠোর জবাবের ঘোষণা নেতানিয়াহুর Dec 23, 2025