আমি রাজমিস্ত্রির ছেলে, খেটেখাওয়া মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে আসছি: হাসনাত আবদুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমি রাজমিস্ত্রির ছেলে। আমি গ্রামের খেটেখাওয়া মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করতে আসছি। যারা কর্মজীবী, যারা পরিশ্রম করে রোজগার করেন তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি আসছি। আমার বড় কোনো বংশ পরিচয় নাই। আমার অনেক টাকাপয়সা নাই। আমি বিদেশে পড়াশোনা করি নাই। ঘি খেয়ে বড় হইনি। ইস্ত্রি করা পাঞ্জাবি পরে বুকে জড়িয়ে ধরে ফটো তুলতে আসিনি।

মঙ্গলবার বিকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১২নং ভানী ইউনিয়নে জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতীক শাপলা কলি নিয়ে পথসভা এবং পদযাত্রায় তিনি এসব কথা বলেন। 

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, অন্য নেতারা ওপর থেকে নিচে আসে। আর আমি নিচ থেকে আপনাদের লেভেল হতে উপরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমার বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেছেন। আপনাদের মতো কৃষিজীবী এবং শ্রমজীবী পরিবার থেকে আমি উঠে এসেছি। 

তিনি বলেন, যারা নেতা বানায় নেতারা তাদের মানুষ মনে করে না। খেটেখাওয়া মানুষদের তারা নিচুশ্রেণির মানুষ মনে করে। স্টেজে নেতার চেয়ার হচ্ছে বাইশ ইঞ্চি। আর কর্মী এবং ভোটারদের জন্য প্লাস্টিকের চেয়ার। 

তিনি আরও বলেন, এবার আপনারা চাইলে প্লাস্টিকের চেয়ার থেকে নেতা বানাতে পারেন। আপনারা নেতা নয়, পাহারাদার এবং সেবক বানান। দারোয়ান বানান। নেতাদের কাজ হচ্ছে দারোয়ান এবং পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করা। কিন্তু জনগণের ভোট নিয়ে তারা নেতা হয়ে যায়। পরে তাদের সঙ্গে দেখা করতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগে।

হাসনাত বলেন, এবার আমাদের লড়াই হবে উপরের স্তর বনাম নিচের স্তর। আমরা যারা রাজমিস্ত্রির পোলাপান, কৃষক শ্রমিকের পোলাপান, আমাদের সঙ্গে এবার লড়াই হবে উপরের লেভেলের। যারা নির্বাচনের সময় উপরের লেভেল থেকে নিচের লেভেলে আসে। নির্বাচন শেষ হলে আবার উপরের লেভেলে চলে যায়। তাদের সঙ্গেই আগামীর ভোট হবে।

এদিন উপজেলার খাদঘর থেকে শুরু করে সূর্যপুর বাজার, ফুলতলী বাজার, সাহারপাড়, সাইতলা বাজার, বরাট স্টেশন ভানী দক্ষিণপাড়া, খিরাইকান্দি এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে পথসভা এবং পদযাত্রা করে সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

এ সময় এনসিপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে ছিলেন।

ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মনোনয়ন কিনে ভুল করেছি, ক্ষমাপ্রার্থী : মনিরুল হক সাক্কু Dec 22, 2025
img
সিইসির সঙ্গে বিকেলে সাক্ষাৎ করবেন বিএনপি নেতারা Dec 22, 2025
img

ভারতীয় হাইকমিশন

পরিবেশ স্বাভাবিক হলে ভিসা কার্যক্রম পুরোপুরি চালু করবে ভারত Dec 22, 2025
img
বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা কমাতে সংলাপের তাগিদ রাশিয়ার Dec 22, 2025
img
এবারের ভোটের মাধ্যমে ইসির প্রতি মানুষের আস্থা ফিরবে: সিইসি Dec 22, 2025
img
ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তত উন্নত হবে: সিইসি Dec 22, 2025
img
আরেকটি তেল ট্যাংকার ধরতে অভিযান যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ডের Dec 22, 2025
img
এই বাংলাদেশের স্বপ্ন আমি কখনো দেখিনি : মির্জা ফখরুল Dec 22, 2025
img
সালমান ও আনিসুলের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আবেদন প্রসিকিউশনের Dec 22, 2025
img
বাংলাদেশ বীরদের দেশ : প্রেস সচিব Dec 22, 2025
img
সময় এখন রুখে দাঁড়াবার: মির্জা ফখরুল Dec 22, 2025
img
ডিআরএস নিয়ে সমালোচনার জবাব দিলেন স্টার্ক Dec 22, 2025
img
হাদির মতো অবস্থা যেন আর কারো না হয়, সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে : আসিফ মাহমুদ Dec 22, 2025
img
ওসমান হাদি হত্যার বিচারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি Dec 22, 2025
img
এবার এনসিপির খুলনা বিভাগীয় প্রধানের মাথায় গুলি Dec 22, 2025
img
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৭, শনাক্ত ৩১ Dec 22, 2025
img
রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত Dec 22, 2025
img
শুভর সঙ্গে প্রেম ভাঙার রহস্য উন্মোচন করলেন বিন্দু Dec 22, 2025
img
পাঁচ দিনের পতন শেষে পুঁজিবাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকেত Dec 22, 2025
img
ওয়েস্টার্ন লুকে উষ্ণতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস Dec 22, 2025