মনকে আর বুঝাতে পারিনি, তাই চলে আসলাম, খালেদা জিয়াকে দেখতে এসে জামায়াত আমির

বেগম খালেদা জিয়ার সংকটজনক শারীরিক অবস্থার খবরে বহুদিন দূর থেকেই ধৈর্য ধরে দোয়া করছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর মনকে থামাতে পারেননি তিনি, সবশেষে তাই এভারকেয়ার হাসপাতালে ছুটে এসেছেন দলটির আমির।

গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের কাছে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন ডা. শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার পর হাসপাতালে পৌঁছান জামায়াত আমির। পরে পৌনে ১১টার দিকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আজকে আর কোনোভাবে মনকে বুঝাতে পারিনি, এজন্যই আসলাম। আমি উনাকে দেখে এসেছি।

খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে তিনি জানান, এখন উনার ডায়ালাইসিস চলছে এবং তিনি আসলে ডিপ সিডেশনে (এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে ওষুধ ব্যবহার করে রোগীকে গভীর ঘুমে রাখা হয়) আছেন। সারা দুনিয়ার মানুষের সঙ্গে আমরাও দোয়া করি আল্লাহ তাআলা উনাকে সুস্থতার নিয়ামত দান করুন।

শারীরিক জটিলতা নিয়ে খালেদা জিয়ার বহুদিনের চিকিৎসা প্রসঙ্গ টেনে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সবাই জানি বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। এভারকেয়ারে এর আগেও বহুবার এসেছেন, কিন্তু এবারের মতো এত সংকটজনক পরিস্থিতি আগে হয়নি।

নিজে এতদিন হাসপাতালে না গিয়ে দূর থেকে দোয়া করার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আমি ধৈর্য ধরছিলাম। দোয়া করছিলাম বাহির থেকে। মনে হচ্ছিল এখানে এসে ডিস্টার্ব না করি।

এ সময় তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া অনুরোধের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। জামায়াত আমির বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও আহ্বান জানিয়েছিলেন দোয়া করুন, এসে ভিড় করবেন না। এতে উনার চিকিৎসা বিঘ্নিত হচ্ছে, অন্য রোগীদের চিকিৎসাও ব্যাহত হয়।

খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য তিনি আবারও দোয়া করে বলেন, আমি দু’চোখে একটু দেখে আসতে পেরেছি এটাই আমার সান্ত্বনা। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন, জাতির খেদমতে বাকি জিন্দেগিটা কাটাতে পারেন এই দোয়া করি।

এমআর 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বৈঠক Dec 22, 2025
img
১০ হাজার রিজার্ভ সেনার বাড়িতে অস্ত্র রাখার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল Dec 22, 2025
img
ঢাকায় বাড়ছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৬ ডিগ্রির ঘরে Dec 22, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ায় বাস উল্টে ১৬ জনের মৃত্যু Dec 22, 2025
img
বাফুফের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন Dec 22, 2025
img
১৫ বছর পর বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র আবারও চালু করছে জাপান Dec 22, 2025
img

বিবিএস-এর জরিপ

৯৫.৪% শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৮৭.৫% স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নত পানির উৎস Dec 22, 2025
img
রিমান্ডে নেয়ার সময় কারাগারের গেটে প্রাণ গেল আ. লীগ নেতার Dec 22, 2025
img
মরুভূমির দেশে তুষারের ছোঁয়া, বিরল দৃশ্য দেখল সৌদি আরব Dec 22, 2025
img
নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা Dec 22, 2025
img
২০২৫ কাঁপিয়েছে যেসব বলিউড সিনেমা Dec 22, 2025
img
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩২৩ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড Dec 22, 2025
img
শরীয়তপুর ও চাঁদপুর নৌরুটে সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক Dec 22, 2025
img
পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি অনুমোদন দিলো ইসরায়েল Dec 22, 2025
img
কুড়িগ্রামে বাড়ছে শীতের তীব্রতা, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ Dec 22, 2025
img
ম্যানইউকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা ৭ জয় অ্যাস্টন ভিলার Dec 22, 2025
img
বিশ্ব প্রতিযোগিতায় শুধু ডিগ্রি নয়, প্রয়োজন সক্ষমতাও : আসিফ নজরুল Dec 22, 2025
img
গ্রিস উপকূলে নৌকা থেকে ৪৩৭ জন বাংলাদেশি অভিবাসী উদ্ধার Dec 22, 2025
তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ফেনীতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা Dec 22, 2025
নারীদের লেখা গল্পে আবেগের সত্যতা আলাদা হয়: কৃতিকা কামরা Dec 22, 2025