ক্যাম্পাসভিত্তিক কর্মসূচি কম থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনগুলোতে ছাত্রদল ভালো করতে পারেনি: মির্জা ফখরুল

ক্যাম্পাসভিত্তিক কর্মসূচি কম থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনগুলোতে ছাত্রদল ভালো করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদলের পদচারণা বাড়াতে হবে। সেভাবে ছাত্রদলের কর্মসূচি দেখা না যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনগুলোতে আমরা ভালো করতে পারিনি।’
 
ছাত্রদলকে নতুন চিন্তার আলোকে তৈরি করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই দেশ গড়ার কর্মসূচি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। পরিবর্তন সবাই চায়। নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাওয়ার ভাবনা সবার মধ্যেই এসেছে। পুরোনো রাষ্ট্র কাঠামো আর উপযোগী থাকছে না।’
 
‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নতুন করে আলোকিত করার চেষ্টা করছেন। জনগণের কাছে নতুন চিন্তা তুলে ধরার দায়িত্ব শুরুতেই ছাত্রদলকে দেয়া হচ্ছে’ যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
 
তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশে দেড় বছরে এক কোটি লোকের কাজের সংস্থান করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশ গড়ার কর্মসূচির এই পরিকল্পনা প্রমাণ করছে বিএনপি একটি অ্যাডভান্সড পলিটিক্যাল পার্টি। বর্তমানে বিএনপিকে নেগেটিভ পলিটিক্যাল পার্টি হিসেবে দেখানোর একটি প্রবণতা দেখা দিয়েছে, যা ভেঙে ফেলতে হবে। বিএনপি সবসময়ই পথ, জানালা খুলে দিয়েছে।’
 
দেশের সব ভালো অর্জন বিএনপির দাবি করে এই নেতা বলেন, ‘যুগসন্ধিক্ষণে আছি আমরা। অনেক বাধা আসছে, এসব পেরিয়ে সাফল্য অর্জন করতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। সাইবার যুদ্ধে লড়াই করতে না পারলে আমরা পরাজিত হতে হবে।’
 
একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে বিভাজনের পথ তৈরি করতে চায়, অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ধর্মকে দিয়ে রাষ্ট্র আর সমাজে বিভাজন আমরা বিশ্বাস করি না। সবার আগে বাংলাদেশ মাথায় গেঁথে নিতে হবে। সমস্ত অপপ্রয়াস পেরিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে ছাত্রদল।’
 
বিএনপির দেয়া ৩১ দফা নিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রামে আমাদের ৩১ দফা সেভাবে পৌঁছায়নি। তবে এই দেশ গড়ার কর্মসূচিতে যেগুলো রয়েছে, সেগুলো পৌঁছে দিতে পারলে সফলতা আসবে।

এসএস/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জেনে নিন স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Dec 20, 2025
img
ময়নাতদন্তের জন্য হাদির মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে Dec 20, 2025
img
দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে হাদির জানাজায় দলে-দলে অংশগ্রহণ করুন : জামায়াত আমির Dec 20, 2025
img
ধর্মেন্দ্রর শেষ ছবি ‘ইক্কিস’ ঘিরে আবেগে ভাসছে নেটদুনিয়া Dec 20, 2025
img
মাদুরো সরকারকে ‘অবৈধ’ বললেন শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক Dec 20, 2025
img
কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার Dec 20, 2025
img
লক্ষ্মীপুরে নির্বাচনি বিধি লঙ্ঘন, ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ Dec 20, 2025
img
‘সকালে মাঠে গিয়ে দেখি সব শেষ’ Dec 20, 2025
img
ভারতকে হারানোর ম্যাচেও জরিমানা গুনতে হচ্ছে বাফুফেকে Dec 20, 2025
img
সিরিয়ায় বড় পরিসরে হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র Dec 20, 2025
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুই মাস আগে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক পরিবর্তন Dec 20, 2025
img
‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ স্থগিত শিল্পকলার সব অনুষ্ঠান Dec 20, 2025
img
বিপিএল আয়োজন নিয়ে উদ্বেগের জবাব দিল বিসিবি Dec 20, 2025
img

সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাহিদ

এক মাসে সবচেয়ে স্থিতিশীল খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য Dec 20, 2025
img
অখণ্ড সিরিজের ইতি, বাতিল তৃতীয় কিস্তি Dec 20, 2025
img
লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই ওসমান হাদির মরদেহ দেখতে গেলেন জামায়াত আমির Dec 20, 2025
img
ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় জামায়াত আমির Dec 20, 2025
img
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ ছায়ানটের Dec 20, 2025
img
দেশের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাই সমাজের প্রকৃত সেবক : সেলিমুজ্জামান Dec 20, 2025
img

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল ১৯-এর বিবৃতি

কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে Dec 20, 2025