ওসমান হাদি আগে থেকেই হুমকি পাচ্ছিলেন

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আজ। আওয়ামী বিরোধী অবস্থানের জন্য তিনি বেশ পরিচিত। তবে এ কারণে তাকে বহু আগে থেকে হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল।


আজ দুপুরে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি দেশের একটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক। কারা তার ওপর এই হামলা করেছে, সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে ওসমান হাদি বহু আগেই জানিয়েছিলেন, তাকে আওয়ামী লীগের লোকজন হুমকি দিয়ে চলেছে। তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুন, তার মা বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল সেসব ফোনকল ও মেসেজে।


তাকে হুমকির ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৪ নভেম্বর। সেদিন সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তিনি এসব কথা জানান। ওসমান হাদি লিখেছিলেন, ‘গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে আওয়ামী লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টা বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে। যার সামারি হলো- আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে। আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে এবং আমাকে হত্যা করবে।’


‘১৭ তারিখ খুনি হাসিনার রায় হবে। ১৪০০ শহীদের রক্তের ঋণ মেটাতে কেবল আমার বাড়ি-ঘর না, যদি আমাকেও জ্বালিয়ে দেয়া হবে, ইনসাফের এই লড়াই হতে আমি এক চুলও নড়বো না, ইনশাআল্লাহ।’


‘এক আবরারকে হত্যার মধ্য দিয়ে হাজারো আবরার জন্মেছে এদেশে। এক হাদিকে হত্যা করা হলে তাওহীদের এই জমিনে আল্লাহ লক্ষ হাদি তৈরি করে দিবেন। স্বাধীনতার এই ক্রুদ্ধ স্বরকে কোনোদিন রুদ্ধ করা যাবে না। লড়াইয়ের ময়দানে আমি আমার আল্লাহর কাছে আরও সাহস ও শক্তি চাই। আরশ ওয়ালার কাছে আমি হাসিমুখে শহীদি মৃত্যু চাই।’


‘আমার পরিবার ও আমার কলিজার সহযোদ্ধাদেরকে আল্লাহ তায়ালার কুদরতি কদমে সোপর্দ করলাম। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। হাসবিয়াল্লাহ।’


তিনি সেদিন তার পরের পোস্টে দুটি স্ক্রিনশট দেখান। যেখানে দেখা যায় রাত ১২টার পর থেকে বাংলাদেশ, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরও অজ্ঞাতনামা স্থান থেকে ফোনকল ও মেসেজ দেওয়া হয়েছে তাকে। 

টিজে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিচ্ছেদের কারণে অভিনয় ছাড়তে চেয়েছিলেন শুভশ্রী Dec 17, 2025
img
পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে ৪-৫ বছর লাগে : গভর্নর Dec 17, 2025
img
ব্যক্তিগত জীবনে ভালো মন্দ নিয়ে খোলামেলা জেনিফার Dec 17, 2025
img
বগুড়ায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ. লীগ ও যুবলীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার Dec 17, 2025
img
বলিউডের সংলাপের সঙ্গে লিপ-সিঙ্কে ভাইরাল আলিনা Dec 17, 2025
img
ট্রাইব্যুনালের নতুন এজলাস উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি Dec 17, 2025
img
অভিনেত্রীর কাছে সাতবার চড় খেলেন অক্ষয়! Dec 17, 2025
img
হান্নান মাসউদের ৩ সমর্থকের ওপর হামলা Dec 17, 2025
img
বাংলাদেশ যেন আবারও ফ্যাসিবাদের পরিচিতি না পায় : মঈন খান Dec 17, 2025
img
৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা Dec 17, 2025
img
টেকসই নদী শাসন ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা Dec 17, 2025
img
বিকেলে যেসব জায়গায় চেকপোস্ট বসাবে ডিএমপি Dec 17, 2025
img
নাশকতা মামলায় মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ৪৫ নেতাকে অব্যাহতি Dec 17, 2025
img
দেশে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Dec 17, 2025
img
ইইউ থেকে ২০০ জন পর্যবেক্ষক আসবে : ইসি সচিব Dec 17, 2025
img
একটি বিশেষ মহল নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে : দুদু Dec 17, 2025
img
বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলবের পর দিল্লির মন্তব্য Dec 17, 2025
img
দেশের তারুণ্য সোনার খনির চেয়ে বেশি মূল্যবান : প্রধান উপদেষ্টা Dec 17, 2025
img
‘রইদ’-এর হাত ধরে আবারও আলোচনায় ফিরলেন তুষি Dec 17, 2025
img
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন বিএনপির প্রার্থী কাইয়ুম Dec 17, 2025